ছবি: সংগৃহীত
আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় সংস্কার বাস্তবায়ন প্রশ্নে কেন মাঠের কর্মসূচি দেওয়া হলো, সেটার ব্যাখ্যা দিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে যাচ্ছি কিন্তু সে আলোচনায় সফলতার মুখ দেখছি না। মনে হয় কোনো চাপের মধ্যে পড়ে সরকার একটি শুভংকরের ফাঁকির দিকে যাচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, এই আন্দোলন জনগণের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার জন্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জিপিও মোড় থেকে বের হলে পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে জামায়াতের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল তিন দিনের প্রায় অভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে। এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
এই আন্দোলনকে ‘রাজনীতির অংশ’ উল্লেখ করে বিক্ষোভ সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সেটার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কাঠামো সংশোধনের জন্য এত রক্ত দেওয়া হলো। এত আলোচনা হলো। এখন যদি একটি দল বলে সংস্কার পরে হবে, তাহলে এত পরিশ্রম করানো হলো কেন?
বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে নির্বাচন হলে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যগুলো ঠিক করার জন্য যত সংস্কার তা যদি নির্বাচনের আগে না হয়; বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে যদি আবার নির্বাচন হয় তাহলে এই কাঠামোতে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। আরেকটি হাসিনার জন্ম হবে।’
সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি, গণভোট দিন। পিআর-এর পক্ষে আছে কি বিপক্ষে আছে। জনগণ যদি পিআর মানে তো আপনাদেরও (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) মানতে হবে। আর জনগণ যদি বিপক্ষে যায় আমরা তা মেনে নেব।’ তিনি ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনীতি অকার্যকর করে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধীদের দৃশ্যমান বিচার করার দাবি জানান।
খবরটি শেয়ার করুন