ছবি: সংগৃহীত
জন্মের কয়েকমাস পরেই বাবাকে হারিয়ে মা আর বৃদ্ধ নানার সীমাহীন জীবন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবনযাত্রা শুরু হয় মো. আকতার আলীর। মা বুলবুলি খাতুনের প্রতিজ্ঞা ছিলো ছেলেকে পড়ালেখা করাবেন, হাল ধরবে পরিবারের।
মায়ের স্বপ্ন অনুযায়ী ঠিকই চলছিলো সবকিছু। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (MIS) বিভাগ থেকে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিবিএ ও পরবর্তী সময়ে এমবিএ শেষ করেন আকতার। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে।
৪৪তম ও ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বর্তমানে ফলের অপেক্ষায়ও আছেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে আকতারের অসুস্থতায়। যে আকতারকে নিয়ে পরিবারের এতো স্বপ্ন, দুটো কিডনি বিকল হওয়ায় এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি।
আকতারের শরীরের দুটি কিডনি বিকল হয়ে পড়ায় এখন তার শরীরও ধীরে ধীরে অকেজো হতে বসেছে। আকতার বাঁচতে চায়, তার পরিবারের হাল ধরতে চায়, তার মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে চায় কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করানো নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়েছে তার মায়ের কপালে। সন্তানের অসুস্থতায় ঢাকায় ছুটে এসেছেন সুদূর চুয়াডাঙ্গা থেকে। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে দিতে চান নিজের কিডনিও।
গত দেড় বছর যাবৎ কিডনি সমস্যায় ভুগছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী। এর আগে রাজধানীর পিজি হাসপাতালে কিডনি সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন। বর্তমানে তিনি শ্যামলীর সিকেডি (CKD) হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুতই ডায়ালাইসিস শেষে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে।
তার কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। যা পরিবারটির পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এজন্য তার মা সকলের কাছে ছেলের জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
আকতারের অসুস্থতা ও তার পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয় তুলে ধরে আকতারের সহপাঠী শফিউল ইসলাম সজন বলেন, আমরা সকলেই কম-বেশি জানি কিডনি জটিলতার চিকিৎসা কতটা ব্যয়বহুল। তার মায়ের পক্ষে চিকিৎসার বিপুল অর্থের জোগান দেওয়া প্রায় অসম্ভব। এরূপ পরিস্থিতিতে আমরা সকলেই যদি আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে ক্ষুদ্র পরিসরেও সহযোগিতা করতে পারি, তাহলে আকতারের মায়ের যে জীবনভর সংগ্রাম তাতে কিছুটা হলেও শামিল হতে পারবো।
চিকিৎসক ও হাসপাতালের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, আকতারের কিডনি প্রতিস্থাপনে খরচ তিন ধাপে হবে। প্রথমত, প্রি-ট্রান্সপ্লান্টে ৩ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয়ত, ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশনে ৪ লক্ষ এবং তৃতীয়ত, অপারেশন পরবর্তী প্রথম মাসে ৫০ হাজার টাকা এবং তারপর যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত প্রতিমাসে ঔষধ বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকার মতো প্রয়োজন। বর্তমানে তাদের পরিবারের আয়ের কোনো উৎস নাই৷ টাকা না থাকলে হয়তো কিডনি প্রতিস্থাপন করাই হবে না। এভাবে ধুঁকে ধুঁকে কষ্ট পেতে হবে।
আকতারকে সহযোগিতায়:
১.আকতারের ব্যক্তিগত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর (এলিফ্যান্ট রোড শাখা)
1261050273342
আকতারের ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারঃ
20501296700158107
রাউটিং নম্বর: 125263522
নিউমার্কেট শাখা, ঢাকা।
২.মজিবুল ইসলাম, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিকাশ-01953382092
নগদ-01707979439
রকেট-01707979439
৩.শফিউল ইসলাম সজন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
নগদ/বিকাশ/রকেট: 01521-111046
এসকে/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন