ছবি: সংগৃহীত
আফগানিস্তানে কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্টে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার (৮ই অক্টোবর) রাতে তালেবান সরকারের সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তালেবান সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্সসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কিছু কনটেন্টে ফিল্টার বসানো হয়েছে।
তবে ঠিক কোন ধরনের পোস্ট ফিল্টারের আওতায় পড়ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কাবুলের কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলছেন, তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ভিডিওগুলো আর দেখা যাচ্ছে না এবং ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারও সীমিত হয়ে গেছে।
সম্প্রতি পুরো আফগানিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল তালেবান সরকার। দুই দিন ইন্টারনেট না থাকায় নাগরিকেরা ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হয়। ব্যাহত হয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বাতিল হয় কয়েকটি ফ্লাইট, জরুরি সেবাও সীমিত হয়ে পড়েছিল।
বিশেষ করে, আফগান সমাজে নারীদের আরও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ইন্টারনেট চালু হলেও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো তালেবান কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
তালেবান সরকারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মের কিছু কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে ফিল্টার বসানো হয়েছে। আশা করি, এবার পুরোপুরি ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হবে না। এই ফিল্টার প্রায় পুরো দেশেই প্রয়োগ করা হয়েছে।’
তালেবান কর্তৃপক্ষ এখনো এই সীমাবদ্ধতার জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা নেটব্লকস জানিয়েছে, স্মার্টফোনে সোশ্যাল মিডিয়া মাঝে মাঝে অ্যাক্সেসযোগ্য হলেও তা স্থায়ী নয়।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহারের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি ফেসবুক খুলতে পারছেন। কিন্তু ছবি দেখা বা ভিডিও চালাতে পারছেন না। তিনি জানান, ইন্টারনেট খুব ধীর গতিতে চলছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তার ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট মঙ্গলবার (৭ই অক্টোবর) থেকে বন্ধ। তবে মোবাইল ডাটা কাজ করছে। তিনি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এখন খুব ধীর গতিতে চলছে বলে উল্লেখ করেছেন।
তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে আফগানিস্তানে ইসলামিক শরিয়া আইন অনুযায়ী নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
আফগান নারীরা বিবিসি আফগানকে জানিয়েছেন, ইন্টারনেট তাদের বাইরের বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ রাখার একমাত্র উপায়। কারণ দেশটিতে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী লেখকদের বইও সরিয়ে দেওয়া হয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন