বুধবার, ৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দুদকের মামলার আসামি হওয়ার একদিন পর ট্রাইব্যুনালের ‘বিচারক’ *** ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য ‘অযৌক্তিক’: তৌহিদ হোসেন *** ১৫–১৮ই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্ভব, হিসাব দিলেন জামায়াত নেতা তাহের *** ‘সেফ এক্সিটের তালিকার শীর্ষে কোন উপদেষ্টারা’ *** শহিদুল আলমের প্রতি সহমর্মিতা প্রেস সচিব শফিকুল আলমের *** উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট নিতে চায়, সেটি নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান *** পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা কিছুটা কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** শহিদুল আলমকে ‘অপহরণ’ করেছে দখলদার ইসরায়েল *** ‘ফ্রি শহিদুল আলম’, মির্জা ফখরুলের পোস্ট *** বেবি পাউডারে ক্যানসারের উপাদান, জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৯৬ কোটি ডলার জরিমানা

সবচেয়ে বড় ইচ্ছের কথা জানালেন আশা ভোঁসলে

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:১১ অপরাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সংগীত জগতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি আশা ভোঁসলে। ৯০-এর গণ্ডি পেরিয়ে ৯১-তে পা দিলেও, কণ্ঠে আজও অটুট সেই সুরের জাদু।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ‘কাপল অফ থিংস উইথ আরজে আনমোল এবং অমৃতা রাও’ -এর একটি পডকাস্টে এসে সংগীতজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা গল্প ভাগ করে নিয়েছেন আশা ভোঁসলে।

সেই সোনালি দিনের কথা বলতে গিয়ে আশা তার প্রয়াত স্বামী কিংবদন্তি সুরকার আরডি বর্মণের বিনয়ী স্বভাবের কথা স্মরণ করে বলেন, এত বড় সংগীত পরিচালক হয়েও আর ডি বর্মণ কখনো অহংকার করেননি। টাকা-পয়সা কিংবা গয়না তাকে কিছুই আকৃষ্ট করতে পারেনি, বরং নতুন গান রেকর্ড করাই ছিল তার আসল আনন্দ। 

আশা ভোঁসলে জানান, তিনি এবং আরডি বর্মন একে অপরকে কী নামে ডাকতেন। তিনি বলেন, ‘আগে আমি ওঁকে পঞ্চম বলে ডাকতাম।’ তারপর আমি ‘বাবুয়া’ গানটি গাইলাম এবং ও আমাকে নামটি ছোট করে ‘বেব’ বলে ডাকতে শুরু করে। কিন্তু লোকজনের সামনে তিনি আমাকে আমার নাম ধরেই ‘আশা’ বলে ডাকতেন।

গায়িকা পঞ্চমদাকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং বলেন, ‘স্টুডিওতে তার মতো একজন সঙ্গীত পরিচালকের উপস্থিতিতে গান করাটা অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার। এখনও মঞ্চে উঠলে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। গলা আটকে আসে এবং গলা কাঁপে। স্মৃতিগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে। সেই রাতগুলো, সেই চিঠিগুলো, বালিশে রাখা সেই গোলাপগুলো।’

আরও পড়ুন: যৌনপল্লিতে অমিতাভ বচ্চন, কী করেছিলেন আড়াই ঘণ্টা!

৯১ বছর বয়সী আশা তার সবচেয়ে বড় ইচ্ছের কথাও ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে তার এখন একমাত্র ইচ্ছা হলো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত গান গাওয়া। তার কথায়, ‘একজন মায়ের ইচ্ছা যেমন তার সন্তানরা ভালো থাকুক, একজন ঠাকুমার ইচ্ছা যেমন তার নাতি-নাতনিরা সুখে থাকুক। আর আমার একমাত্র ইচ্ছা হলো, আমি যেন গান গাইতে গাইতেই মারা যাই।

আমার শেখার মতো আর কিছুই বাকি নেই। আমি আমার পুরো জীবন গেয়েছি। আমি মাত্র তিন বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখা শুরু করি। প্লেব্যাক গান করছি ৮২ বছর হয়ে গেছে। আর এখন ইচ্ছে হলো আমি গাইতে গাইতে মরতে চাই। এটাই আমাকে সবচেয়ে সুখী করবে।' শেষে হাসিমুখে এই কিংবদন্তি শিল্পী বলেন, ‘আমি গান ছাড়া বাঁচিনা।’

এসি/কেবি 


আশা ভোঁসলে

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250