শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪২ লাখ টাকায় প্রশ্নপত্র কিনেও ফল হলো না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, ১১ই জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি বাংলাদেশে বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা সব মহলে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও হৈচৈ পড়ে যায়। তবে একই ধরনের একটি ঘটনায় উত্তাল প্রতিবেশী দেশ ভারতও। সেখানে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর আন্দোলনে নেমেছেন পরীক্ষার্থীরা। কারও কারও দাবি, ৩০ লাখ রুপিতে (যা বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় ৪২ লাখ ১০ হাজার ৫৬৭ টাকা) বিক্রি হয়েছে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। 

গত বুধবার (১০ই জুলাই) রাতে শীর্ষ আদালতে জমা দেয়া হলফনামায় এনটিএ বলেছে, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। পাটনায় যেসব পরীক্ষার্থী প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা কেউই পরীক্ষায় এমন কোনো ভালো নম্বর পাননি। পরীক্ষার স্বচ্ছতা এতে নষ্ট হয়নি। 

চলতি বছরের নিট-ইউজি পরীক্ষা নিয়ে ভারতজুড়ে গেল কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে মামলাও। প্রশ্নফাঁস থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ ছিল মেডিকেলে স্নাতকে ভর্তির এই জাতীয় স্তরের পরীক্ষায়। নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে বহু আবেদন। বিহার পুলিশও তদন্ত চালায়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এক একটা প্রশ্নপত্র ৩০ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই প্রশ্নের উত্তরও দেয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। তবে এ ঘটনায় জড়িত কোনো পরীক্ষার্থীই সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি বলে দাবি করা হয়েছে এনটিএর হলফনামায়। 

সংস্থাটির দাবি, পাটনায় নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যে ট্রাঙ্কে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার কোনোটারই তালা ভাঙা ছিল না। কোনো প্রশ্নপত্রই হারিয়ে যায়নি পরীক্ষার আগে। এনটিএ পর্যবেক্ষকরা এ নিয়ে কোনো অভিযোগও জানাননি।

আর রাজস্থানে সাওয়াই মাধোপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এনটিএ বলছে, সেখানে প্রথমে ভুল প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়েছিল। পরে তা শুধরে নেয়া হয়। তবে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে হল ছেড়েছিলেন। তাই সেই পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমে কিছু প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

গত ৫ই মে নিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে, একটি চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে। পরে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে আদালতে অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা, শুরু হয় আন্দোলন। তবে কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে সুপ্রিম কোর্টে প্রতিবেদন দিয়ে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। 

কেবি/ আই.কে.জে/

পরীক্ষা

খবরটি শেয়ার করুন