ছবি- সংগৃহীত
ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর সুফলও দেখা যাচ্ছে বাজারে। কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। সবজির বাজারও রয়েছে কমতির দিকে। তবে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমলেও এবার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে মুরগির দাম। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে চিনি, ডিম ও ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ কর ছাড় দিয়ে গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক কমানোর কারণে বাজারে পণ্যগুলোর দর কমতে পারে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, শুল্ক কমলে আমদানি মূল্য কমে যাবে। খুচরা বাজারে এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে কতটুকু কমবে, তা নির্ভর করবে আমদানিকারকদের ইচ্ছার ওপর।
বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনার শীর্ষে ছিল ডিম। এখন দাম কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিআর জানিয়েছে, ডিম আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৩ টাকা ৮০ পয়সা কমবে। তাতে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে। ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমবে। পাশাপাশি ডিম ব্যবহারকারী বিভিন্ন শিল্প যেমন– কনফেকশনারি, বেকারি, ডিমনির্ভর খাদ্য উৎপাদক শিল্পের খরচ কমবে। বাজারে স্বস্তি ও ভারসাম্য ফিরবে। ডিম আমদানিতে এ অব্যাহতি সুবিধা আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেলের কর অব্যাহতির এ সুবিধাও বলবৎ থাকবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত ৮ই অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এবার নতুন করে বাজারে পরিশোধিত চিনির সরবরাহ বাড়াতে পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিশোধিত চিনিতে আমদানি শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমানোর ফলে পরিশোধিত চিনি আমদানি বাড়বে। তাতে বাজারে দাম কমে আসবে।
আই.কে.জে/