শনিবার, ৩০শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নুরের অবস্থা স্থিতিশীল, জানালেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক *** আ.লীগ নিষিদ্ধ হতে পারলে জাপা কেন নয়: অ্যাটর্নি জেনারেল *** কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব *** ফেলিক্সের অভিষেক হ্যাটট্রিকে আল নাসরের উড়ন্ত জয়, রোনালদোর ইতিহাস *** টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, ২২ মাস পর একাদশে সাইফ *** ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কেউ রুখতে পারবেন না, আল্লাহ ছাড়া: সালাহউদ্দিন আহমদ *** নুরুল হকের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাল অন্তর্বর্তী সরকার *** নুরকে ফোনকল করেছেন প্রধান উপদেষ্টা, জানালেন গণঅধিকারের দপ্তর সম্পাদক *** নুরের ওপর হামলার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করবে সরকার *** ৪ মাস ১৮ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৩২ বস্তা টাকা

এইচএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে পাস করলেন মা-ছেলে!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৯ অপরাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় একসঙ্গে মা ও ছেলে এইচএসসি পাস করে এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন। এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কৃতিত্ব অর্জনকারী এই মায়ের নাম শেফালী আক্তার। তিনি ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ গ্রামের বাসিন্দা। তার ছেলে মেহেদী হাসান মিয়াদও পাস করেছেন পরীক্ষায়।

মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে মা শেফালী আক্তার কারিগরি শাখা থেকে পেয়েছেন জিপিএ ৪.৩৩ এবং মানবিক শাখা থেকে ছেলে পেয়েছেন ৪.৮৩। এর মধ্যে শেফালী আক্তার ফুলবাড়িয়া কালাদহ জনতা মহাবিদ্যালয় কারিগরি শাখা থেকে ও ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদ ঢাকার মিরপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। মা-ছেলের এমন সাফল্যের খবরে ফুলবাড়িয়ার শিবরামপুর গ্রামজুড়ে চলছে আলোচনা।  

জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার শিবরামপুর গ্রামের দরিদ্র নুরুল ইসলামের স্ত্রী শেফালী আক্তার। তিনি স্থানীয় শুশুতি বাজারে সাফা মেডিক্যাল সেন্টারের রিসিপশনের কাজ করেন। স্বামী শুশুতি বাজারে ছোট্ট একটি লাইব্রেরির দোকান করেন। দুই ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে অনেকটা অভাবের সংসার তাদের।

আরো পড়ুন : আন্দোলনে নিহতের পরিবারের অনুদানের টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ১

সূত্র জানায়, অষ্টম শ্রেণি পাস শেফালী আক্তার একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে সংসারে সহযোগিতা করতেন। পরে এনজিওতে একই পদে এইচএসসি পাস সার্টিফিকেটধারীদের নিয়োগ দেওয়া হলে তার চাকুরি চলে যায়। এরপর তিনি প্রতিজ্ঞা করেন এইচএসসি পাস করবেন। চাকুরি চলে যাবার পর, বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শুশুতি বাজারে সাফা মেডিক্যাল সেন্টারের রিসিপশনে বিকেলের শিফটে কাজ নেন তিনি। এর কিছুদিন পর আছিম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কারিগরি শাখায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন শেফালী আক্তার। তখন তার ছোট ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদ শুশুতি উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র। বড় ছেলে শাকিল হাসান মৃদুল তখন অনার্সের শিক্ষার্থী। সেই থেকে রিসিপশনে কাজ করার পাশাপাশি ছেলেদের সাথে নিজেও লেখাপড়া চালিয়ে যান।

মা শেফালী আক্তার বলেন, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকায় চাকুরি চলে যায়, স্বামী সন্তানের কাছে লজ্জায় পড়ে যাই। পরে সিদ্ধান্ত নিই লেখাপড়া করব। এইচএসসি পাস করার খবরে গ্রামের মানুষও খুশি, আমাদের পরিবারে এখন অনেক আনন্দ।

গ্রামবাসীরা জানায়, শেফালীর মনোবল ও দৃঢ়তাই তাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আগামীতেও শেফালী লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা অনেকের।

এস/ আই.কে.জে/

এইচএসসি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন