ফাইল ছবি
তিন দফা দাবিতে আবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ বুধবারের (১৫ই অক্টোবর) মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে সড়কে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার (১২ই অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তারা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরদিন সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন করছেন তারা।
শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্য দুটি দাবি হলো—শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয়ের অভিমুখে মিছিল করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। হাইকোর্টের মাজারসংলগ্ন গেটে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই রাত পর্যন্ত শিক্ষকদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
আজ বেলা ১১টা থেকে আবারও শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। দাবি মেনে না নিলে দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড় অবরোধের কথা ছিল তাদের। তবে ১২টার পরও এ কর্মসূচি শুরু হয়নি।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক চলছে। তারা বৈঠক থেকে ফিরলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আন্দোলনে আসা কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার একবাড়িয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আল ফরিদী বলেন, ‘আমাদের এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। এটাকে ২০ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলন করায় পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। ম্যাট্রিক পাস পুলিশ সদস্যরা ৪৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া পেলে আমরা শিক্ষকেরা ২০ শতাংশ কি বেশি দাবি করেছি?’
এ বিষয়ে আজকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে দাবি আদায়ে আবারও সড়কে অবস্থান নেবেন বলেও জানান হাবিবুর রহমান আল ফরিদী।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থেকে আন্দোলনে এসেছেন শিক্ষক কাররাম মুনিরা। তিনি সেরাজাবাদ রানা শফিউল্লাহ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। এই শিক্ষক বলেন, ‘আমরা এভাবে আন্দোলন করার জন্য রাস্তায় থাকতে চাই না। আমরা চাই শ্রেণিকক্ষে থাকতে। আমরা আন্দোলনে থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে এ বিষয়ে দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে আসা। না হলে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন