রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

একক বক্তৃতায় শ্রীরাধা দত্ত

ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সত্যিকার খোলামেলা আলোচনা দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, ৩০শে আগস্ট ২০২৫

#

শ্রীরাধা দত্ত। ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের পুনর্জাগরণ ঘটাতে হলে সত্যিকার অর্থেই খোলামেলা আলোচনা শুরু করতে হবে বলে মনে করেন ভারতের ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কারণে নয়, বরং শেখ হাসিনা–পরবর্তী সময়ে ভারতের জাতীয় স্বার্থ কীভাবে সুরক্ষিত হবে, সেটি বুঝতে না পারায় ঢাকা–দিল্লির সম্পর্ক এখন ‘স্লিপ মোডে’ (শীতল অবস্থা)। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সত্যিকার অর্থেই খোলামেলা আলোচনা কখনো হয়নি বলেও মনে করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (২৯শে আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বেঙ্গল ডেল্টা কনফারেন্স ২০২৫’–এ একক বৃক্ততায় শ্রীরাধা দত্ত এ মন্তব্য করেছেন। তিনি ‘বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের রাজনৈতিক প্রভাব: মুক্তিযুদ্ধ থেকে জুলাই অভ্যুত্থান’ শিরোনামে প্রায় ১৫ মিনিট বক্তৃতা করেন। ওই বক্তৃতার পর শ্রোতাদের কাছ থেকে অবশ্য কোনো প্রশ্ন নেওয়া হয়নি।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস (দায়রা) দুই দিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য, ‘বাংলাদেশ অ্যাট ক্রস রোডস: রিথিঙ্কিং পলিটিকস, ইকোনমিকস, জিওপলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজি’।

বক্তৃতার শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান সম্পর্ককে ‘স্লিপ মোড’ হিসেবে উল্লেখ করেন শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ভারত কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেবে না, আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।

শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ‘গত এক বছরের নিবিড় পর্যবেক্ষণে দেখেছি, গণমাধ্যমে কী পরিমাণ ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এটা যেমন ভারতে ঘটেছে, তেমনি বাংলাদেশে। আমার মনে হয়েছে, এই কয়েক মাসে ভারতের বিরুদ্ধে গভীরে প্রোথিত একধরনের বিদ্বেষও রয়েছে।’

তার মতে, ভারতেও এখানকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও নতুন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে সমান পরিমাণ সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘উভয় দিক থেকেই একধরনের পারস্পরিক শত্রুতার মনোভাব স্পষ্ট এবং আমার মনে হয় না এতে অতিরিক্ত ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে।’

শ্রীরাধা বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ যদি সম্পর্কের পুনর্জাগরণ ঘটাতে চায়, তাহলে সত্যিকারের খোলামেলা আলোচনা শুরু করতে হবে—যেটি গত ৫০ বছরে কখনোই হয়নি। আমরা সব সময় বলি, “তুমি কী চাও”, “আমি কী চাই”, কিন্তু কখনোই বলা হয়নি—দুপক্ষ মিলে কীভাবে উপকারে আসতে পারি।’

বাংলাদেশকে ভারতের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী’ হিসেবে অভিহিত করেন শ্রীরাধা। তিনি বলেন, ‘যাদের প্রতি আমরা সর্বোচ্চ বিশ্বাস রাখতে পারি, সেটা হলো বাংলাদেশ। আমি বিশ্বাস করি, এই অঞ্চলে ভারত ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করলে অনেক কিছু সম্ভব। এটি তখনই কেবল সম্ভব হবে, যদি দুই দেশ খোলামেলা, আন্তরিকভাবে কথা বলে, যা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে খুব কমই হয়েছে।’

শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ‘আমি যেমন আমাদের সমস্যার কথা জানি, তেমনি আপনাদের সমস্যার কথাও জানি। কিন্তু আমার বিশ্বাস, এমন কোনো সমস্যা নেই, যার সমাধান দুই দেশ একসাথে বসে করতে পারে না। এখন পরিস্থিতি অনুযায়ী ভারত শেখ হাসিনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে এবং আমি বুঝি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কাজ নিয়ে অনেক বিদ্বেষ ও ঘৃণা তৈরি হয়েছে।’

তার মতে, দিল্লির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠতা ছিল বাস্তবতা এবং এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকাটাই স্বাভাবিক।

জে.এস/

ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস (দায়রা) শ্রীরাধা দত্ত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250