ছবি: সংগৃহীত
খেলার দুনিয়ায় এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। মাঠের ভেতরে ও মাঠের বাইরে এ মুহূর্তে তার সামনে কেউ নেই। তার সামনে এখন ১০০০ গোলের মাইলফলক। পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের (আইপিএএম) গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।
আইপিএএম হিসাব করে জানিয়েছে, ২০২০ সালের পর পর্তুগিজ কিংবদন্তির ব্র্যান্ডের দাম ৩২৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে ৮৫ কোটি ইউরোয় পৌঁছেছে।
খেলাধুলার পাশাপাশি হোটেল, লাইফস্টাইল (আন্ডারওয়্যার, জুতা, পারফিউম), রেস্তোরাঁ, চুলের ক্লিনিক, জিম ও ফিটনেস এবং ব্যক্তিগত জেট সার্ভিসে একজন সফল ব্যবসায়ী তিনি। এ ছাড়া জার্মানির একটি ঘড়ির ব্র্যান্ড এবং পর্তুগালে পোর্সেলিন ও সিরামিকস উৎপাদনের সঙ্গেও জড়িত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
এদিকে সম্প্রতি এ পর্তুগিজ ফুটবলার নিজেকে সিনেমায় জড়িয়েছেন। ব্রিটেনের খ্যাতিমান পরিচালক ম্যাথু ভনের সঙ্গে সতন্ত্র একটি ফিল্ম স্টুডিও চালু করেছেন তিনি। দুটি সিনেমা এরই মধ্যে পাইপলাইনে আছে।
তবে গবেষণাপত্রটি রোনালদোর সিনেমায় নাম লেখানোর আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত গবেষণাটি করা হয়েছে ‘স্পোর্টস রেপুটেশন’ ইনডেক্সের মাধ্যমে, যেখানে ছয়টি ক্ষেত্রে (আয়, সংবাদমাধ্যমে উপস্থিতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য, সামাজিক প্রভাব ও বিস্তার) মোট ২৮টি বিষয়/চলক (ভ্যারিয়েবলস) পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আইপিএএম জানিয়েছে, আল নাসরে বছরে ২০ কোটি ইউরো পারিশ্রমিক পান রোনালদো। এর বাইরেও আয় করেন ১৫ কোটি ইউরো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুসারীও তার—১০০ কোটির ওপরে। এর মধ্যে শুধু ইনস্টাগ্রামেই তার অনুসারীসংখ্যা ৬৪ কোটি ৮০ লাখ।
রোনালদো এ পর্যন্ত পাঁচটি ব্যালন ডি’অর ও পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ মোট ৩১টি ট্রফি জিতেছেন। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৯৩১ গোল করেছেন এ ফরোয়ার্ড।
সার্বিক বিবেচনায়, একজন অ্যাথলেট, স্পনসর, ইনফ্লুয়েন্সার এবং বিনিয়োগকারী হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন সত্যিকার অর্থেই এক ‘বৈশ্বিক আইকন’, মাঠ ছাপিয়ে জনমানুষের জীবনেও যার ভূমিকা অনেক বেশি।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন