ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও শাসনব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন সাতটি বাম দল নিয়ে গঠিত ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতারা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সমালোচনা করে তারা বলেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও বুর্জোয়া শক্তি ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী প্রভাবের কারণে তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবীর মিলনায়তনে শনিবার (৯ই আগস্ট) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহম্মদ নাসু। সঞ্চালনা করেন বাসদের (মাহবুব) কেন্দ্রীয় সদস্য মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণ-আন্দোলনের লক্ষ্যে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ফাঁদ পেতেছে। দেশের প্রতি চারজন নাগরিকের একজন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন। কৃষি ও শিল্প খাতে বাণিজ্যিক চুক্তি করে স্থানীয় অর্থনীতি ধ্বংস করা হচ্ছে। সিন্ডিকেট ব্যবসা, ঘুষ-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, নারী-শিশু নির্যাতন ও মৌলবাদী সন্ত্রাস রোধে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
বাম মোর্চার নেতাদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা, রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া এবং বিদেশি সামরিক সরঞ্জাম কারখানা স্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত দেশকে সাম্রাজ্যবাদী সংঘাতে জড়াচ্ছে, যা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি মিলবে না।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন