শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

অগ্নিসন্ত্রাসের মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৫০ অপরাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আইনজীবীদের ভবন, স্বল্পমূল্যে জমি বরাদ্দসহ নানা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থিক স্বচ্ছলতা আসলে আস্তে আস্তে করে দেবো। এসময় তিনি শর্ত দিয়ে বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। এটাই আমার অনুরোধ এবং দাবি। 

শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন ও আইনজীবী মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের কত নেতা হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে আরও ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে, এটাই আমার অনুরোধ। তাদের শাস্তি কেন দেরি হবে? আগে আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল, এখন আন্দোলনের সুযোগে সামনে এসেছে। তাদের মামলায় যেন তারা সাজা পায়। এটা আপনাদের কাছে আমার দাবি।

তিনি বলেন, ‌আমি জানি একটি দাবি আছে, আইনজীবী ভবন করে দেওয়ার। আর্থিকভাবে যত স্বচ্ছলতা আসবে, ধীরে ধীরে সব জেলায় এটা করে দিতে পারবো। তবে এখানে একটা শর্ত আছে, সেখানে আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও ফান্ড থাকতে হবে। আপনারা একটা ফান্ড গঠন করেন। সেখান থেকে কিছু দেন, আমিও কিছু দেবো।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০১ সালে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। তারা দেশের অর্থ পাচার করেছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দেশ বানিয়েছে। সারাদেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। বেঁচে গেছি, এটা ঠিক। কিন্তু তারা দেশে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করেছে।

তিনি বলেন, খুনিদের জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছেন। সে সময় আমি দেশে ফিরে আসি। দেখি, ক্ষমতাসীনরা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু লোকের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে, কিন্তু জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। আমি গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াই। মানুষের কষ্ট দুর্দশা দেখি। পরে ২১ বছর পর আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি। বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে জিয়াউর রহমানের সহায়তায় মোস্তাক ক্ষমতা দখল করে, টিকতে পারেনি। আসল চেহারা নিয়ে বেরিয়ে আসেন জিয়া। ক্ষমতা দখল করেন। ইনডেমনিটি জারি করে আমাদের বিচার থেকে বঞ্চিত করেন। নির্বাচন পক্রিয়া ধ্বংস করেন। নিজেই দল গঠন করে কারচুপি করে ২/৩ শতাংশ মেজরিটি দিয়ে সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করেন।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজও বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। তার জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করে দিয়ে যান। বিচার কাজে নারীদের যাওয়ার পথ সুগম করেন জাতির পিতা। তার হাত ধরে আমরা সেটা আরও সহজ করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার সুফল যেমন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেন, পাশাপাশি সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আত্মনিয়োগ করেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিচার বিভাগের দিকেও নজর দিয়েছেন। মাত্র ১০ মাসে একটা সংবিধান উপহার দেন। যেটা বিশ্বের কোনো দেশ দিতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধু আইনের শাসনে বিশ্বাস করতেন। তার হাত দিয়েই বাংলাদেশের বিচার কাঠামোর গোড়াপত্তন। তিনি ১৯৭২ সালে বার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৩ সালে তাদের ৪৪ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেন এবং আইনজীবীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফান্ড গঠন করে দিয়ে যান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ৬ দফা দিয়েছেন। যতবার তিনি এদেশের মানুষের জন্য কথা বলেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, বন্দি হয়েছেন, জেল খেটেছেন। সাজাও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু থেমে যাননি। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের পথচলা।

মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও আইন সচিব গোলাম সরওয়ার।

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি দর্শন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এসকে/ 

মামলা অগ্নিসন্ত্রাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনজীবী ভবন উদ্বোধন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250