ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
জুমা হলো সপ্তাহের ঈদের দিন; রমজান মাসের একেকটি জুমা অন্যান্য মাসের ৭০টি জুমার সমতুল্য। সুতরাং একেকটি জুমা পূর্বের জুমা থেকে বেশি ফজিলত ও বরকতপূর্ণ। আর শেষ জুমা তো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পূর্ণতাদানকারী। তাই রমজানের শেষ জুমা ‘জুমাতুল বিদা’ বা বিদায়ী জুমা বলা হয়।
নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা এরই ধারাবাহিকতায় এই দিনে বাদ জুমা নফল নামাজ আদায় করেন এবং বিশেষ মোনাজাত করেন। প্রতি বছরের মতো এবারও জুমাতুল বিদা উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অতিরিক্ত মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নানা কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম)। তাই সারা বছরের মাঝে মুমিনের কাছে রমজান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমাতুল বিদার মাধ্যমে কার্যত রোজাকে বিদায় জানানো হয়।
রমজানের আগমনে মুমিনের হৃদয়ে যেমন আনন্দের বন্যা বয়ে যায়; তদ্রুপ রমজান বিদায়লগ্নে মুমিনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে যায়। তাই সবাই চোখের পানি দিয়ে তাকে বিদায় জানায়। আল বিদা ইয়া মাহে রমজান, ‘আল বিদা’ বিদায় হে মাহে রমজান, বিদায় তোমায়।
এম/
আরো পড়ুন:
প্রস্তুত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান, জামাত সকাল ১০ টায়