সারাবিশ্ব যেখানে ঈদ আনন্দে মশগুল সেখানে হাজার হাজার বেলুচ কোনও ধরনের আনন্দ উদযাপন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিকে আহমদিয়ারা ভীত হয়েই ঈদ আনন্দ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
ঈদের কয়েকদিন আগে আহমদিয়ারা যেন ঈদে অংশ না নিতে পারে এ ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করা হয়। পাকিস্তান সরকার এবং এখানকার বেশিরভাগ নাগরিক আহমদীদের মুসলমান হিসেবে মান্য করে না এবং আইনতভাবে তাদের ধর্ম কিংবা উৎসব পালনের অনুমতিও প্রদান করা হয় না।
ঈদ আয়োজন থেকে আহমদী সম্প্রদায়কে বয়কটের ডাক দিয়েছে কয়েকটি চরমপন্থী দল। ফলে কোনও আহমদী যদি ঈদে অংশ নেয় তবে সে শাস্তির সম্মুখীন হতে বাধ্য।
এমনিতেই পাকিস্তানে আহমদিয়াদের গ্রেফতার এবং শাস্তি প্রদানের রীতি চলে আসছে। অপরদিকে বেলুচরা আহমদিয়াদের মতো নিষিদ্ধ না হলেও তারা পাকিস্তান সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ঈদ আয়োজনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলায় হাজার হাজার বেলুচ নাগরিকদেরকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।
বেলুচরা তাদের দু:খ দুর্দশার কথা পুরো বিশ্ববাসীকে জানাতে চায়৷ পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন ঈদের সময় বেলুচদের অবস্থানকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন বলেছে যে ডাঃ দ্বীন মোহাম্মদ বালুচ আজ থেকে ১৪ বছর আগে নিখোঁজ হন এবং তার নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে কোনও তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
নিখোঁজ বেলুচ পরিবারের সদস্যরা ৯ মে সহিংসতার জন্য সামরিক হেফাজতে থাকা ১০২ জনের নিরাপত্তার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগের প্রতিবাদ করে। এই একই কোর্ট ২০১৯ সালে পেশোয়ার হাইকোর্টের একটি রায়কে স্থগিত করেছিল। পেশোয়ার হাইকোর্ট বন্দিদের সামরিক গোপন কারাগার থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাগারে স্থানান্তরের রায় দিয়েছিল।
আই. কে. জে/