সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উইঘুর মুসলমানদের চরমপন্থী বলে ঘোষণা করেছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, ৬ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এর ফরেনসিক তদন্ত অনুসারে, চীনা কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘু উইঘুরদের ফোনের প্রায় ৫০,০০০ মাল্টিমিডিয়া ফাইলগুলোর উপর নজরদারি রাখছে। চীনা সরকার দ্বারা চিহ্নিত চরমপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন, বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস নির্বাসিত গোষ্ঠী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত নিউজ আউটলেট রেডিও ফ্রি এশিয়া। নিষিদ্ধ ফাইলের মধ্যে রয়েছে ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কয়ারের গণহত্যার তথ্য। 

এইচআরডব্লিউ এর ভারপ্রাপ্ত চীনা পরিচালক, মায়া ওয়াং বলেছেন, চীনা সরকার জিনজিয়াংয়ের তুর্কিদের উপর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে ইসলামকে চরমপন্থার সাথে তুলনা করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত জিনজিয়াং এবং এর বাইরে চীনা সরকারের কার্যক্রম তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

আরো পড়ুন: উইঘুর মুসলিমদের সমর্থনে বাংলাদেশে প্রতিবাদ সভা

চীনা পুলিশ জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকির বাসিন্দাদের জিংওয়াং উইশি নামের একটি এপ ডাউনলোড করতে জোরপূর্বক বাধ্য করে, যার দ্বারা চীনা কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই তাদের ফোনের সমস্ত তথ্যের উপর নজরদারি রাখতে পারবে। এমনকি জিনজিয়াংয়ের দর্শনার্থীদেরও অনুরূপ এপ ব্যবহার করতে হয়।

চীনা সরকার উইঘুর মুসলমানদেরকে চরমপন্থী হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের একমাত্র অপরাধ হল তারা মুসলমান। তাছাড়া প্রায় ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলমানদের শিক্ষা প্রদানের নাম করে জোরপূর্বক বন্দিশিবিরে আটকে রেখেছে চীনা সরকার।

২০১৪ সাল থেকেই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, বিভিন্ন এপ এবং অন্যান্য মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে চীন।

তবে জিনজিয়াং এ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত অভিযোগ  অস্বীকার করে চীন। তাদের বক্তব্য হিংসাত্মক চরমপন্থা মোকাবেলা এবং দারিদ্র‍্য দূরীকরণের জন্যেই উইঘুরদের শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।

 

উইঘুর মুসলমান চীন

খবরটি শেয়ার করুন