বাংলা সিনেমার রাজকুমার চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
বছর ঘুরে দিনটি এলেই তার অনুরাগী ও সহকর্মীদের হৃদয় বেদনার নীল জলে ভেসে যায়। শোক হয়ে ওঠে স্রোতস্বিনী কোনো নদী।
এই দিন চিত্রনায়িকা মৌসুমীও সালমানকে হারানোর যন্ত্রণায় কাতরান। স্বামী ওমর সানির ফেসবুক পেজ থেকে এ কথা জানান তিনি। এত বছরে একটা দিনও সালমানকে ভুলে থাকতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন এ নায়িকা।
মৌসুমী বলেন, ‘আজ ৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রের জন্য একটি কালো অধ্যায়। আমার জীবনেরও একটি খুব কষ্টের দিন। কেননা এই দিনে আমার বন্ধু,পথচলার প্রথম সহযাত্রী সালমান শাহকে হারিয়েছি। আমরা ওকে ইমন বলে ডাকতাম। তার চলে যাওয়াটা চিন্তার বাইরে ছিল। আমরা কখনও ভাবিনি। ওর ছেলেমানুষি, রাগ, অভিমান ছিল। সবমিলিয়ে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা ছিল। এত বছরে একটা দিনের জন্যও আমি ওকে ভুলতে পারিনি।’
এরপর সালমানের মৃত্যুর আগের রাতের স্মৃতিচারণা করে প্রিয়দর্শিনী বলেন, ‘চলে যাওয়ার আগের রাতে ও ডাবিং করছিল। আমি আর বাপ্পা ভাই (বাপ্পারাজ) শুটিং করছিলাম। তারপরের দিনই শুনি ও নেই। কিছুই মেলাতে পারছিলাম না।’
এ সময় ওমর সানির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে মৌসুমী বলেন, ‘তোমার কী মনে হয়? ও কি আত্মহত্যা করতে পারে? একজন সফল মানুষ ছিল। সে কেন আত্মহত্যা করবে? আমার মনে হয় সেসময় যদি সব আলামত সঠিকভাবে সামনে আসত তাহলে হয়ত সত্যটা বেরিয়ে আসত। ও আত্মহত্যা করেছে নাকি করেনি— জানতে পারতাম।’
একই ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মৌসুমী-সালমান। কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নামের সে ছবির মাধ্যমে রাতারাতি তারকা খ্যাতি পান তারা। এরপর ‘স্নেহ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন তারা। এই ছবিগুলোও ব্যবসা সফল হয়েছিল।
ওআ/