প্রতীকী ছবি
কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেন অভিমুখে যাওয়া একটি কার্গো জাহাজে রুশ বাহিনীর গুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেন রুশ বাহিনীর ব্যাপারে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। দেশটির অভিযোগ, রুশ হামলার এরকম ঘটনার মধ্য দিয়ে কৃষ্ণসাগরে নৌযান চলাচল নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
কৃষ্ণসাগর হয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি চুক্তি থেকে সম্প্রতি বেরিয়ে যায় রাশিয়া। এরপর রাশিয়া ঘোষণা দেয়, কৃষ্ণসাগর হয়ে ইউক্রেন অভিমুখে যাওয়া যেকোনো জাহাজকে তারা সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে হামলা চালাবে।
এই ঘোষণার পর গত রোববার (১৩ আগস্ট) ইউক্রেনের ইজমাইল বন্দর অভিমুখী তুরস্কের একটি কার্গো জাহাজকে সতর্ক করতে গুলিবর্ষণ এবং পরে জাহাজটিতে তল্লাশি চালায় রাশিয়ার নৌবাহিনী। গতকাল সোমবার (১৪ আগস্ট) রাশিয়ার এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানায় ইউক্রেন। এব্যাপারে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণসাগরে নৌযান চলাচলের স্বাধীনতা এবং বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে রাশিয়া।
এ ছাড়া রোববার দিবাগত রাতে ওদেসা অঞ্চলে তিন দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তবে সব কটি হামলাই প্রতিহত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী।
এব্যাপারে সোমবার (১৪ আগস্ট) বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের ‘অপারেশনাল কমান্ড সাউথ’ বলেছে, রাতে ১৫টি ড্রোন এবং সাগর থেকে নিক্ষেপ করা ৮টি ক্যালিবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওদেসা অঞ্চলে তিন দফা হামলা চালায় শত্রুরা। আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সব কটি হামলা প্রতিহত করেছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি ছাত্রাবাস ও একটি সুপারমার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যে অপরাধ করেছে, তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন