ছবি: সংগৃহীত
বড়পর্দা থেকে অনেকদিন আগেই বিদায় নিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন ছোটপর্দাতেই মন দিয়েছেন তিনি। দিদি নাম্বার ওয়ানের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে জুড়ে গিয়েছে তার নাম। তাকে ছাড়া এই শো কার্যত অসম্পূর্ণ।
তবে নিজের কাজের জন্য ব্যক্তিগত জীবনে কত কিছু করতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে— তা জানেন না অনেকেই।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অত্যন্ত সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে তেমন সুখের মুখ দেখেননি রচনা। স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন তিনি। একমাত্র ছেলে রৌনককে একাই বড় করে তুলছেন। তাকে ঘিরেই যাবতীয় স্বপ্ন তার। মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে নিজের অভিনয় ক্যারিয়ারও আত্মত্যাগ করেছেন।
দিদি নাম্বার ওয়ানে রচনার সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন ‘রান্নাঘর’-এর প্রাক্তন সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। একসময় জি-বাংলায় পরপর সম্প্রচারিত হত রান্নাঘর এবং দিদি নাম্বার ওয়ান।
তবে বেশ কয়েকমাস হলো শেষ হয়ে গিয়েছে রান্না বিষয়ক শোটি। দিদির মঞ্চে খেলতে এসে কিছু পুরনো স্মৃতি ভাগ করে নেন তিনি।
আরো পড়ুন: সিনেমা দেখতে অফিস ছুটি, মিলছে ফ্রি টিকিট
সুদীপা জানান, তার ও রচনার মেকআপ রুম ছিল পাশাপাশি। রচনার রুমে সবসময় একটা বোরকা ঝোলানো থাকতে দেখতেন তিনি। একদিন তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বোরকার ব্যাপারে। রচনা উত্তর দিয়েছিলেন, সেট থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য তিনি মেট্রো ব্যবহার করেন।
তখন ওই বোরকাটা পরে নেন, যাতে কেউ চিনতে না পারেন। কালীঘাট স্টেশনে নেমে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে তার। সেটায় চেপে বাড়ি ফেরেন।
ছেলেকে তাড়াতাড়ি পড়তে বসানোর জন্যই এত তাড়াহুড়া করে ফিরতেন রচনা। শুনে সুদীপা বলেছিলেন, তিনি যেন রচনার মাতৃত্বের ৫০ শতাংশও পান সেই আশীর্বাদ করতে।
এসি/আইকেজে