ছবি: সংগৃহীত
মাংসের ভালো চাহিদা ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উন্নত জাতের গাড়ল পালন করে রাজবাড়ী জেলার প্রান্তিক খামারিদের ভাগ্য বদলাচ্ছে।
গাড়ল দেখতে অনেকটা ভেড়ার মতো। দুটি প্রাণীর জীবনচক্রও একই রকম। তবে ভেড়ার চেয়ে আকারে বেশ বড় ও মাংসের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি গাড়লের। ফলে রাজবাড়ী জেলায় দিন দিন বাড়ছে গাড়লের খামার। কম খরচে অধিক লাভ হওয়াতে খামারিরাও গাড়ল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।
খামারিরা বলছেন, ভেড়াগোত্রীয় এই গাড়লের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গাড়লের বাচ্চা কিনে নিয়ে নতুন নতুন খামার গড়ে তুলছেন দেশের অনেক জেলার খামারিরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা উদ্যোক্তারা খামার থেকেই বাচ্চা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আকারভেদে ৬ মাস বয়সের গাড়লের প্রতিটি বাচ্চা ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০টি গাড়লের খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে বছরে প্রায় ১ হাজার গাড়লের বাচ্চা উৎপাদন হয়।
গাড়ল পালনের ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খায়ের উদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “গাড়ল সব পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। এদের রোগব্যাধি অনেক কম। এ জন্য গাড়ল পালন সহজ। পূর্ণ বয়স্ক গাড়লের ওজন ৫৫ থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হয়। গাড়লের মাংস ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এর মাংস সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি।”
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন