ছবি : সংগৃহিত
অফিসে একটানা কাজ করতে করতে সুবর্ণা খেয়াল করলেন ঠিকমতো হাত নাড়াতে পারছেন না। হাত নাড়ালে কাঁধে প্রবল যন্ত্রণা হচ্ছে। ফলে কাজ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ ঘাড় নাড়াতে না পারার এই সমস্যাকে ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ বলা হয়।
ফ্রোজেন শোল্ডার হলে কী হয়?
এই সমস্যা দেখা দিলে কাঁধের বল ও সকেট সন্ধি আক্রান্ত হয়। সাধারণত ৪০ বছরের পর ফ্রোজেন শোল্ডারের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে কিংবা কোনও চোট-আঘাত লাগলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফ্রোজেন শোল্ডার দেখা দিলে যন্ত্রণা কমাতে কী করবেন, জানুন-
শোয়ার ধরনে বদল
‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ থেকে বাঁচতে চাইলে ঘুমের সঙ্গে কোনো আপস করা চলবে না। ঠিক রাখতে হবে শোয়ার ধরন। ভুল ভঙ্গিমায় শোয়ার কারণে ঘাড় ব্যথা বাড়ে। এক্ষেত্রে বালিশও অনেকটা দায়ী। খুব বেশি উঁচু বা শক্ত বালিশে ঘুমাবেন না
বিরতি নিন
অফিসে যখনই ক্লান্ত লাগবে কিংবা কাঁধে যন্ত্রণা হবে, তখন চেয়ার থেকে উঠুন। মিনিট দশেকের বিরতি নিন। এসময় হাঁটাহাঁটি করুন। হাতের ব্যায়াম করতে থাকুন। স্বস্তি মিলবে।
লং ড্রাইভ নয়
‘লং ড্রাইভ’ ভালোবাসেন? তবে ফ্রোজেন শোল্ডার সমস্যা থাকলে একটানা অনেকক্ষণ গাড়ি চালানো উচিত হবে না। এতে ঘাড়ের ব্যথা আরও বাড়তে পারে।
আরো পড়ুন : শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যেসব ভেজিটেবল স্যুপ
চাপমুক্ত থাকুন
যতটা পারা যায় নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, চিন্তা বাড়লেই ঘুম কম হবে। আর ঘুম কম হলে বাড়বে ক্লান্তি। যা থেকে ঘাড়ে ব্যথা হবে।
ব্যায়াম করুন
‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ সারাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। রোজ ঘুম থেকে উঠে নিয়ম করে ঘাড়ের হালকা ব্যায়াম করুন। খুব ভালো ফল পেতে যোগাসন করতে পারেন। মার্জারাসন, সেতুবন্ধনাসন, গরুড়াসন, গোমুখাসনের ইত্যাদি নিয়মিত করলে ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’-এর সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন।
অসহ্য ব্যথা হলে কী করবেন?
‘ফ্রোজেন শোল্ডার’-এর যন্ত্রণা যদি অসহ্য হয়ে ওঠে তবে গরম পানিতে সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে চার-পাঁচ মিনিট গোসল করুন। গোসলের সময়ে ঘাড় নাড়াচাড়া করবেন না। এভাবে গোসল করে ধীরে ধীরে ঘাড়ের পেশিগুলি শিথিল হতে শুরু করবে।
কিছুক্ষণ আইস প্যাক দিয়ে চাপা দিয়ে রাখতে পারেন। খানিকক্ষণের মধ্যেই আরাম পাবেন। ঘাড়ের ওপর হিটিং প্যাড চেপে রাখলেও রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। এতে ঘাড়ে ব্যথা কমবে। ব্যথা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফিজিও থেরাপি করাতে পারেন।
এস/ আই.কে.জে/