ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন - ছবি: সংগৃহীত
দেশের মেয়েদের জাতীয় ফুটবল দলের আরো একজন খেলোয়াড় ক্যাম্প ছাড়ছেন। ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন চীনে যাবেন। সেখানে একটি একাডেমিতে ডাক পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আঁখি জানিয়েছেন, চীনে বিকেএসপির মতো একাডমিতে যাব আমি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ঈদের পর আমার যাওয়া হবে।’
আঁখি দেশের মেয়েদের ফুটবলে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। আস্থার প্রতীক। রক্ষণভাগে তার সুঠাম দেহ প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন বাঁধা। মেয়েদের ফুটবলে হাতে গোনা যে কজন লম্বা ফুটবলার রয়েছেন, তাদের মধ্যে আঁখি একজন। এই ফুটবলার চলে গেলে তার স্থান ভরাট করা কঠিন হয়ে যাবে। আঁখি বলছেন, ‘আমার কাছে দেশ আগে। দেশে তো অনেক খেললাম। আমি একটা সুযোগ পেয়েছি। পড়াশোনা ও খেলা দুটোই কাজে লাগাতে চাই।’ সিরাত জাহান স্বপ্না ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছেন। স্বপ্নার পথ অনুসরণ করলেন কি না-এমন প্রশ্নে আঁখি বলেন, ‘স্বপ্না আপুর বিষয়টা এক রকম, আমার বিষয়টা ভিন্ন।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে ট্রফি নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আর জাতীয় দলের খেলা ছিল না। সাফে যারা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল, তারা এরই মধ্যে একাধিক ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু এটা কোনো বিষয় নয় তার কাছে। আঁখির মা অসুস্থ। গ্রামে ফিরে যাবেন তিনি। তার ভাই বিজিবিতে চাকরি করেন। ঘরে মানুষের সংখ্যা কম। গুছিয়ে নিয়ে চীনে যেতে চান আঁখি।
আরো পড়ুন: টিভিতে দেখুন আজকের খেলা (২৯ মে ২০২৩)
শুধু চীন নয়, ইউরোপ থেকেও আমন্ত্রণ এসেছিল। সুইডেন থেকে এসেছিল। আঁখি বললেন, ‘সুইডেন থেকে অফার এসেছিল। নেপাল, ভূটান থেকেও অফার এসেছিল।’ চীনে কত বছরের জন্য চুক্তি সে ব্যাপারে আঁখি কথা খুলে বলছেন না। তিনি বললেন, ‘দুই-তিন বছরের জন্য চুক্তি হবে। চীনের একাডেমির নামটা কী, সেটা এখনই প্রকাশ করেননি। আগে তিনি চুক্তি করতে চান।
ফুটবলে গুঞ্জন, আঁখির বন্ধুর প্রেরণায় তিনি নতুন জীবনের খোঁজে পা দিচ্ছেন। কিন্তু আঁখি সেটা অস্বীকার করে বলেন, ‘যেটা শোনানো হয়েছে, আমার নাকি বিয়ে হয়েছে। আমার বিয়ে আর আমি জানি না আমার হাজব্যান্ড কে। এটা কী করে হয়? এটা ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।’ পছন্দ আছে কি না-এমন প্রশ্নে আঁখি বলেন, ‘পছন্দ একটা না, অনেকগুলো আছে। আমার যখন বিয়ে হবে, আপনারা থাকবেন।’
এম/
খবরটি শেয়ার করুন