রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

প্রধানমন্ত্রী

জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েই পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:০৮ অপরাহ্ন, ১০ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রণাঙ্গনে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েই পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ক্ষুধা-দারিদ্র, অশিক্ষা, চিকিৎসাহীনতা, ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের ক্রন্দনে বাংলার আকাশ-বাতাস ভারী ছিল। এই বাঙালি জাতিকে আর্থসামাজিক মুক্তি দেয়ার জন্যই জাতির পিতার সংগ্রাম। এ দেশের মানুষের জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ছোটবেলা তোমরা শিশুরা অনেকেই তো বাবা-মায়ের হাত ধরে স্কুলে গিয়েছিলে। কিন্তু আমাদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। আমার তো বাবার সঙ্গে দেখা হতো কারাগারে। জেলগেটে মাসে দুইবার আমরা যেতে পারতাম। স্কুল থেকে জেলগেটে গিয়েছি, এমনকি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায়ও জেলগেটে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করেছি। এই ছিল আমাদের জীবন। কিন্তু আমাদের কোনো ক্ষোভ ছিল না। কারণ আমরা জানতাম আমাদের বাবা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। স্বাধীনতার পর তিনি সেই চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলার প্রত্যেকটি ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের ঘর হবে। প্রতিটি মানুষ পেট ভরে ভাত খাবে, ভালো কাপড়, চিকিৎসা ও শিক্ষা পাবে। কিন্তু তিনি সেই কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। যাইহোক আজকে অন্তত এটুকু বলতে পারি, জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূরে এগিয়েছি। গত ১৫ বছরে একটা বাংলাদেশকে একটা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে আমরা রূপান্তর করতে পেরেছি।

শিশুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত কোনো কিছুই সম্পদ না। সম্পদ হচ্ছে একমাত্র শিক্ষা। এই শিক্ষা যে ভালোভাবে গ্রহণ করবা, তা চোরেও নিতে পারবে না, ডাকাতেও নিতে পারবে না, নিজের কাছেই থেকে যাবে। আর শিক্ষা থাকলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করা যাবে।

এদিকে, নানা মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য আগামীকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রেলওয়ে যুগে প্রবেশ করবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। একই দিন প্রধানমন্ত্রী মহেশখালীর মাতারবাড়িতে দেশের গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহিন ইমরান জানান, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১১টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত মাতারবাড়ী ১৩০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগ।
এসকে/ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ম্যুরাল উদ্বোধন বিজয় সরণি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250