রেলপথে ঢাকাকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করতে চারটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন দ্রুতগতির রেল চলাচলে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন শেষপর্যায়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধলেশ্বরী শাখা নদীর ওপর তৈরি হয়েছে পোড়াহাটি রেলসেতু। সেতুর বুকে রড বাইন্ডিং করে বসানো হচ্ছে স্লিপার। স্লিপারের দুই মাথায় স্টিলের রেললাইন স্থাপন করে তা আটকে দেয়া হচ্ছে ক্লিপ দিয়ে।
এরপরই প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেভেল ঠিক করে ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুতি আর রাতে করা হচ্ছে কংক্রিটিং। ৩০০ মিটার দীর্ঘ এই রেলসেতুতে স্থাপন করা হয়েছে তিনটি রেল এক্সপানশন জয়েন্ট।
তবে ঢাকাকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করতে চারটি মেজর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। অপর ৩টির মধ্যে ৪০০ মিটার বুড়িগঙ্গা, ৩০০ মিটার বিবিরবাজার ও ৫০০ মিটার ধলেশ্বরী রেলসেতু। এর মধ্যে সবার আগে রেললাইন স্থাপন হলো পোড়াহাটি রেলসেতুতে।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী নিলাকর বিশ্বাস বলেন, ব্রিজের ওপর রেলসেতুর কাজ করাটা অনেক রিস্কি। আমাদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেভেল ঠিক করে ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুতি আর রাতে করা হচ্ছে কংক্রিটিং।
আরো পড়ুন:ঘূর্ণিঝড় মোখা: ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পেরর (ব্রিজ অ্যান্ড ভায়াডাক্ট) ইনচার্জ প্রকৌশলী আমিনুল করিম বলেন, ধলেশ্বরী শাখা নদীর ওপর তৈরি হয়েছে পোড়াহাটি রেলসেতু। ১৬.৭৬ কিলোমিটারের মধ্যে চারটি ব্রিজ আছে। এর কাজ সম্পন্ন হলে ঢাকা, যশোরসহ অনেক জেলায় যোগাযোগ সুবিধা বাড়বে। সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকিতে রেলসেতুটিতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের গুণগতমানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
সেতুতে দুই ধরনের ৫৩৭টি স্লিপার বসছে। এর মধ্য রেল এক্সপানশন জয়েন্টে বসানো ৯০টি বিশেষ স্লিপার; যা আনা হয় চীন থেকে।
এম/