শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৩

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

বাস, ট্রেন, লঞ্চে ঠাসা ভিড়, পথে পথে ভোগান্তির মধ্যেই ঈদ আনন্দে ঘরে ফেরা মানুষ কর্মমুখী হচ্ছেন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। আবার বিপরিত চিত্রও আছে। ঈদের পরের দিন গত শনিবারও বাড়ি গিয়েছেন বহু মানুষ। গতকাল রবিবার কমলাপুর, সদরঘাট, গাবতলী ও মহাখালীতে গ্রামে ফেরার মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। এই যাওয়া আসার পালায় রাজধানী ঢাকা এখনো ফাঁকা। হয়তো এ সপ্তাহের পুরোটাই এমন থাকবে। আগামী রবিবার ও সোমবার নাগাদ রাজধানী ঢাকা চিরচেনা রূপ ফিরে পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল ছিল অফিস-আদালত খোলার প্রথম দিন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তবে অধিকাংশ মার্কেট, শপিংমল, বিপণীবিতান, ব্যক্তিগত দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গতকাল কর্মস্থলে ফেরা মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল ঢাকামুখী সড়ক, নৌ ও রেলপথে। ঈদের আগে শেকড়ের টানে যাওয়ার মতো এদিনও নানা দুর্ভোগ-বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে। ফিরতেও তেমনি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নগরীতে ফেরা নগরবাসী।

জানা গেছে, ঝুঁকি আর ঝক্কি সত্ত্বেও দায়িত্ববোধের তাড়নায় ছুটে আসছে মানুষ। যে যেভাবে পারছে সেভাবেই ছুটে আসছে রাজধানীতে। রাজধানীর জনস্রোত এখন শুধুই টার্মিনাল আর স্টেশনমুখী। কমলাপুর রেল স্টেশনে প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই ছিল ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ।

গতকাল রবিবার ভোর থেকেই সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে ফিরতি মানুষের ভিড় ছিল অনেক বেশি। রাজধানীর অন্যতম প্রধান এই প্রবেশদ্বার সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৪৪টি রুটে লঞ্চ চলাচল করছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ঢাকামুখী যাত্রীর ভিড় লক্ষ্য করার মতো। নির্দিষ্ট সময় পর পর লঞ্চ এসে টার্মিনালে থামলে মানুষের ভিড় বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন টার্মিনালের বাইরে এসে। কারণ, সেখানে যাত্রীদের তুলনায় রিকশা ও সিএনজির সংখ্যা অনেক কম। অনেকে হেঁটেই রওনা হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে এসে বাসে উঠছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (বন্দর) শামসুল আরেফিন বলেন, যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ ও প্রশাসন বেশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে আগত যাত্রীদের কোনো প্রকার ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। তবে পথে ভোগান্তি থাকলেও নৌ ও সড়কপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন অনেকেই। পটুয়াখালী থেকে আসা মোহাম্মদ আনিস বলেন, জীবনে কখনো শুনছেন ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেনি? সরকার যাই নির্ধারণ করে দিক না কেন? কেউই তা মানেন না। তবে ফেরার পথে তেমন ঝামেলা হয়নি এটাই বড় কথা। সড়কপথে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

শিডিউল বিপর্যয়ে ঈদ-উত্তর ট্রেনযাত্রায় অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়েছে যাত্রীদের। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও ঠিকমতো ট্রেন ছাড়তে পারছে না কমলাপুর রেলওয়ে টার্মিনাল। গতকাল ভোর  থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৪টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস আড়াই ঘণ্টা এবং খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে। তেমনি দুটি ট্রেনই যথাক্রমে দুই ঘণ্টা ও এক ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুরে এসে পৌঁছে।

আরো পড়ুন: তিন সিটির মেয়র-কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার দাবি করে বলেন, অন্য সব দিনের মতো এবার ঈদেও রেলে স্বস্তিতে মানুষ যেমন ঈদ উদ্যাপনে গেছে, ঠিক তেমনি হাসিমুখে ফিরছেনও। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি করেছে।

এম/


Important Urgent

খবরটি শেয়ার করুন