শুক্রবার, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নির্বাচন সামনে রেখে অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা *** গত ১৫ বছর বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের আবেদনের আহ্বান: আইএসপিআর *** জাকসুর ভোট গ্রহণের ৫ ঘণ্টা পর গণনা শুরু *** গাঁজা উৎপাদন কেন্দ্রকে তীব্র গন্ধ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ *** ভোটের আগে ইসির ৬১ কর্মকর্তার রদবদল *** ৪৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ *** জামায়াতের একাত্তরের ভূমিকার বিরোধিতা করার নৈতিক অবস্থান আ. লীগ, বিএনপির নেই *** সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল *** দক্ষিণ এশিয়ায় চার বছরে তিন সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসছে কী *** ডাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিজয়ে জাতীয় পার্টির অভিনন্দন

দাম কমেছে পেঁয়াজের

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০১:১৭ অপরাহ্ন, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

দিনাজপুরের হিলিতে দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩-৪ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কমতির দিকে পণ্যটির দাম। 

পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্কারোপের ফলে দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ছিল নিত্যপণ্যটির বাজার। সরবরাহ কমায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বাজার। তবে শুল্কারোপের পরও ভারতসহ বিদেশী পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করায় সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ফলে বাজারে পণ্যটির দাম নিম্নমুখী হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে ভারতীয় ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (ট্রাকসেল) কেজিপ্রতি ৪৪-৪৫ টাকায়, যা দুদিন আগেও ছিল ৪৮ টাকা। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০-৫১ টাকা, যা দুদিন আগে ছিল ৫৪-৫৫ টাকা।

স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ‘‌ভারতের অভ্যন্তরে কাস্টমসের সার্ভার সমস্যার কারণেও কয়েকদিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গিয়েছিল। সমস্যা ঠিক হয়ে যাওয়ায় এখন আবার আমদানি বেড়েছে। আর পাকিস্তান, তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। এ কারণে এখন বাজারে সরবরাহ খানিকটা বাড়ায় ঢাকা চট্টগ্রামসহ বড় আড়তগুলোয় পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে।’

বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা  এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘‌এখান থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। কয়েক দিন আমদানি কমায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। তাই পেঁয়াজ কিনতে এসে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল, কারণ বাড়তি টাকা লাগছিল। মোকামে পাঠানোর খরচ পুষিয়ে আমাদেরও বিক্রি করতে হয়েছে বেশি দামে। এখন দুদিন ধরে কেজিতে দাম ৩-৪ টাকা কমেছে। কম পুঁজিতে এখন বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারব। মানুষও কম দামে পেঁয়াজ খেতে পারবে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‌বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত। সোমবার বন্দর দিয়ে ৩৭টি ট্রাকে ১ হাজার ১০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আগের দিন রোববার ২৫টি ট্রাকে ৭৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। পেঁয়াজ গরমে ও বৃষ্টির পানিতে পচে যায়। বিষয়টি মাথায় রেখে কাস্টমসের পরীক্ষণ শুল্কায়নসহ সব কার্যক্রম শেষে দ্রুত যেন ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ খালাস দিতে পারেন, সেজন্য আমরা কাজ করছি।’

বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। সর্বশেষ রবি মৌসুমে দেশে রেকর্ড ৩৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় ও সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় ভোক্তাপর্যায়ে এক-চতুর্থাংশ পেঁয়াজ নষ্ট ও শুকিয়ে ওজন কমে যায়। ফলে সংকট দেখা যাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার।

ওআ/

পেঁয়াজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন