সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৪ অপরাহ্ন, ২৮শে অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সুখবর

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করা হবে।

শনিবার (২৮ অবক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অংশগ্রহণ শেষে টানেলের অপর প্রান্ত আনোয়ারায় কেইপিজেড ময়দানে দুপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর পূর্বে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির উদ্দেশ্যে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুন, প্রশাসন আপনাদের সহযোগিতা করবে। কিন্তু গন্ডগোলের অপচেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে সেটি কঠোর হস্তে মোকাবিলা করা হবে, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করা হবে।

এ দিন ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে হাছান আরো বলেন, বিএনপি আজ ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা অনুমতি দিয়েছি। নাও দিতে পারতাম কিন্তু দিয়েছি। এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে।

‘অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বিএনপি আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি’ স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের লাঠিপেটা করেছে, মতিয়া চৌধুরীর মতো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে টানা-হেঁচড়া করেছে। আর এখন তারা ক'দিন পরপর কর্মসূচি দেয়। হাঁটা, বসা, দৌড়ানো কর্মসূচির পর সামনে হয়তো হামাগুড়ি কর্মসূচি দেবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, কিন্তু মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের নাম, আর আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যার শিরায়-ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত আপোষ জানে না, পরাভব মানে না। তাই নয়াপল্টনে ৩০-৪০ বা ৫০ হাজার লোক সমাবেশ করে লাভ নেই, যেখানে গুলিস্তানের মোড়ে পাগল নাচলেও ১০-২০ হাজার লোক জড়ো হয়।

সদ্য উদ্বোধিত টানেল সম্পর্কে চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি ড. হাছান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল এটিই প্রথম। পাহাড়ের তলদেশে টানেল, নদীর তলদেশে রেল টানেল থাকলেও নদীর নিচ দিয়ে সড়ক টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোথাও নেই। 

পাশাপাশি তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী এক লাখ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার ফলে ঢাকার মতো চট্টগ্রামকেও আর আকাশ থেকে চেনা যায় না, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মনে হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ বছর ৮ মাসে চীনের সহযোগিতায় কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট পর্যন্ত গভীরে নির্মিত ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ সড়কটি চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পতেঙ্গার সাথে শিল্পসমৃদ্ধ  আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসা চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিঙ'কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেল নির্মাণ শুরু হয়।

এসকে/ এএম/ 

বিএনপি আওয়ামী লীগ ড. হাছান মাহমুদ বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন

খবরটি শেয়ার করুন