ছবি: সংগৃহীত
আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী পর্যটকদের নিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিন বা ডুবোযান টাইটানের মালিক স্টকশন রাশের স্ত্রী ওয়েন্ডি রাশের পূর্বপ্রজন্মের দুই প্রতিনিধি অর্থাৎ প্রপিতামহ এবং তাঁর স্ত্রী ১৯১২ সালে টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির যাত্রী ছিলেন। খবর: বিবিসি’র।
টাইটানের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশন্সের মালিক স্টকশন রাশ নিখোঁজ ডুবোযানটিতে চালক হিসেবে আছেন। ১৯৮৬ সালে স্টকশন ওয়েন্ডির সঙ্গে বিয়ে হয়। নিখোঁজ স্টকশনের স্ত্রী ওয়েন্ডি ওশানগেট এক্সপেডিশন্সের যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।
স্বামীর সঙ্গে এর আগে তিন তিনবার টাইটানিক দর্শনে সমুদ্র তলদেশের অভিযাত্রী হয়েছিলেন ওয়েন্ডি রাশ। ওয়েন্ডির দাদার দাদা ইসিডর স্ট্রস এবং তাঁর স্ত্রী ইডা টাইটানিক জাহাজে ডুবে মারা যান।
স্ট্রস দম্পতি টাইটানিকের ধনাঢ্য যাত্রীদের অন্যতম ছিলেন বলে জানা যায়। ইসিডরের মরদেহ দুই সপ্তাহ পর পাওয়া গেলেও স্ত্রী ইডার মরদেহের সন্ধান মেলেনি।
আরো পড়ুন: জলবিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে ব্যর্থ, কয়লার দিকে ঝুঁকেছে চীন
১৯১২ সালে দুই হাজার ২০০ যাত্রী নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়ে বরফখন্ডের আঘাতে ডুবে যায় ঐতিহাসিক জাহাজ টাইটানিক। দেড় হাজার যাত্রীর করুণ মৃত্যু হয়। ১৯৮৫ সালে এসে জাহাজটির সন্ধান মেলে। এরপর থেকেই এটি নিয়ে আগ্রহ দুনিয়াজোড়া।
এখন পর্যন্ত পর্যটকরা সাবমার্সিবল ডুবোযান ব্যবহার করে সাগরের তলদেশে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। ওশানগেট এক্সপেডিশন্স জনপ্রতি আড়াই লাখ মার্কিন ডলারে আট দিনের প্যাকেজে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যায়। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে রয়ে গেছে টাইটানিক।
ডুবোযানটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ওশানগেটের মালিক ও চালক স্টকশন রাশসহ পাঁচ আরোহী নিয়ে যাত্রা করে সাবমেরিনটি। যাত্রাকালে সাবমেরিনটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন ছিল, তা দিয়ে ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে টিকে থাকা সম্ভব। সে অনুযায়ী, সাবমেরিনটির আরোহীদের আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অক্সিজেন পেয়ে বেঁচে থাকার কথা জানা গেছে।
এসি/ আই.কে.জে/