নৌঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা - ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নতুন ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলাসহ চারটি প্যাট্রল ক্রাফট ও চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১২ জুলাই) গণভবন থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভার্চুয়ালি এগুলো উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কমিশন ফরমান তুলে দিয়েছেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। এরপর বাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন করা হয়।
নৌবাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় এ ঘাঁটি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে। পাশাপাশি এটি নৌ সদস্যদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায়, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার দেশি ও বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরাপত্তায় একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে ঘাঁটিটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা’ ঘাঁটির নামফলক উন্মোচিত হয়। আধুনিক সব সুবিধায় এ ঘাঁটিতে গড়ে তোলা হয়েছে নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এর পাশাপাশি অপারেশনাল কার্যক্রমের সুবিধার্থে প্রশাসনিক ভবন, এভিয়েশন সাপোর্ট ও হ্যাঙ্গার সুবিধায় মাল্টিপারপাস শেড, বিভিন্ন রিপেয়ার ও মেইনটেনেন্স ওয়ার্কশপ। এছাড়া ঘাঁটিতে এভিয়েশন সুবিধা, ডাইভিং স্যালভেজের কমান্ডো পরিচালনা সংবলিত ইউনিট, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ৫০ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে।
সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত চারটি প্যাট্রল ক্রাফট নৌবহরে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে। এছাড়া নবনির্মিত এলসিইউগুলো আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের আওতায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর ও তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে।
আরো পড়ুন: নতুন ঘাঁটি নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে: প্রধানমন্ত্রী
এম/