ছবি: সংগৃহীত
৪৩টি জাল পে-অর্ডার ব্যবহার করে সেতু নির্মাণকাজের দরপত্রে অংশগ্রহণ এবং বিল তুলে দেওয়ার অভিযোগ মাসুদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৩১ অক্টোবর কমিশন থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ (সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে এমন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর দুদক থেকে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অন্যের জাল সইয়ে ভুয়া পে-অর্ডার দিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানকালে দুদক জানতে পারে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় আটটি সেতু নির্মাণ করা হয়। দরপত্র মূল্যায়নের সময় মানিকছড়ি উপজেলার ৪টি প্রতিষ্ঠান এটি ট্রেডার্স, তপন জ্যোতি চাকমা, সাইফুল টেডার্স এবং ওয়াইজ ট্রেডার্সের ৯৭ হাজার ৬০০ টাকার পে-অর্ডার এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ৯৮ হাজার টাকার পে-অর্ডারসহ সর্বমোট ৪৩টি ভুয়া পে-অর্ডার ব্যবহার করা হয়।
এর মধ্যে দুইটি পে-অর্ডার জাহেদুল আলম মাসুদ নামের এক ঠিকাদার মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মাসুদের কোনও ঠিকাদারি লাইসেন্স নাই। তিনি অন্যের ঠিকাদারি লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করেন। এই কারণে এ সংক্রান্ত অপরাধ দুদকের সিডিউলভুক্ত নয় বিধায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে প্রেরণের জন্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ৮ পাতার রেকর্ডপত্রের সংযুক্ত করা হয়েছে।
আই. কে. জে/