শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয় *** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রিয় কাঞ্চন, মনে পড়ে কি সেই ডাক হরকরাদের কথা!

সাহিত্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪৩ অপরাহ্ন, ১৪ই অক্টোবর ২০২৩

#

প্রিয় কাঞ্চন,

আশা করি ভালো আছো। আমিও কুশলতা নিয়ে দিন অতিবাহিত করছি। বর্তমানে আগের দিনের মতো আর চিঠির আদান-প্রদান হয় না। আগে শৈশবে যে কোনো পারিবারিক খবর চিঠি আসলে জানতে পেতাম। 

আজ আমি আমার শৈশবের একটা ঘটনা নিয়ে বলব। তখন সালটা ১৯৯৫। বয়সটা আমার দশ। আমি তখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। খেলার মাঠে একদিন খেলার সময় দেখি পাহাড়ের গায়ের উপর যে রাস্তা, সেখান দিয়ে লোকজন দৌড়াচ্ছে। আমি কৌতূহলী হয়ে আমার তিন বছরের বড় ভাইকে জিজ্ঞাসা করি। বড় ভাই আমাকে সব বুঝিয়ে বললো। আসলে এ লোকেরা ডাক হরকরা; যারা কিনা চিঠি বিলি করেন, সুখ-দুঃখ-বেদনার যাবতীয় চিঠি তারা বহন করেন। তাদের আসলে পরিশ্রমের শেষ নেই। কিন্তু তারা মানুষের উপকারের যেন দূত! যতই বাধা আসুক তারা কোনোদিন পিছপা হবেন না।

আমার মনে হয় না অন্য কোনো মানুষ তাদের কর্মের প্রতি এতটা দায়িত্বশীল! আমার নিজ গ্রাম ও জন্মস্থান বাঘাইছড়িতে এরকম চিঠি আদান-প্রদানকারী লোককে স্কুলে যাওয়ার পথে, আসার পথে, খেলাধুলার সময় ছাড়াও প্রায় সব সময় দেখতাম। তাদের পদচারণা একেক স্থানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও ঘটনামণ্ডিত করে তুলত। পথ যেন চলাচলের রাস্তা তাদের জন্য সহজ করে দিত। ঝর্ণা যেমন চিরপ্রবাহমান; তেমনি আমার মনে হয় ডাকহরকরা মানুষের কাঙ্ক্ষিত খবর পৌঁছে দিচ্ছেন দায়িত্বশীল, একনিষ্ঠভাবে ও দুরন্তপনার সাথে। এসব দেখেই আমি শৈশব পার করেছি। 

আজ আমি প্রাপ্তবয়স্ক, কাজও নেই তেমন। কিন্তু শৈশবের সে মানুষেরা যে কাজ করত তা আজও মনে পড়ে। তাদের এ কাজের প্রতি যা কিনা মহৎ ছিল তার প্রতি কুর্নিশ জানাই। আজ এ পর্যন্তই। নিয়মিত চিঠি লিখো ও পাঠিও। 

তোমার চিঠির জন্য বন্ধু অবশ্যই অপেক্ষায় থাকব। ঠিক যেমন আগেকার দিনে মানুষজন এই চিঠির জন্য সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করত। আজ যোগাযোগের প্রচুর উন্নতি হয়েছে প্রযুক্তির আশীর্বাদে। কিন্তু সে পুরোনো দিনের যোগাযোগ মাধ্যমটা আজও মুছে যায়নি মন থেকে। কী দারুণটাই না ছিল সে যোগাযোগ পদ্ধতি। 

জানি না আজ সে চিঠি বিলিকারীরা কোথায়, কী অবস্থায় আছে! কিন্তু তাদের এককালের আপসহীন ও কর্মঠ মনোভাব মানুষের মনে তাদেরকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। আজ আর নয়, পরিবারসহ ভালো থাকো এটাই প্রত্যাশা করি।

—— ইতি

তোমার বন্ধু

মোজাম্মেল

আরও পড়ুন : প্রিয় নাহিদ, আজ তোকে খুবই মজার একটি ঘটনা নিয়ে লিখছি

এস/ আই. কে. জে/ 


চিঠি বন্ধু শৈশব

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250