শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসে আগুন লাগাতে মাদকসেবী-ভবঘুরেদের টার্গেট করছেন রাজনীতিকরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৭ অপরাহ্ন, ২৩শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে থামছে না যানবাহনে অগ্নিসংযোগ। গত ২৫ দিনে (২১ নভেম্বর পর্যন্ত) ১৯৫টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সিংহভাগই যানবাহনে। এসময় হাতেনাতে অনেককেই আটক করেছে স্থানীয়রা ও পুলিশ। আটকদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। 

তবে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সরাসরি বাসে আগুন দেওয়ার পরিবর্তে টার্গেট করছেন মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের। তারা সামান্য টাকার বিনিময়ে নির্দ্বিধায় বাসে আগুন দিচ্ছে। আর নাশকতার তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে জঙ্গিদের আদলে এনক্রিপ্টেড অ্যাপে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক দলের হরতাল-অবরোধ সফল করতে বাসে আগুন লাগানো হচ্ছে। মাদকসেবী ও ভবঘুরেরা যখন কোনো অপরাধ করে তাদের শনাক্ত করা কষ্টসাধ্য হয়। মাদকের টাকা জোগাড় করতে এসব মানুষ ঝুঁকি নিতে দ্বিধাবোধ করে না। যদি তাদের আটক করা হয় তবে তাকে কে আগুন দিতে বলেছে সেই ব্যক্তির নামটিও অনেক সময় বলতে পারে না।

২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা অবরোধে সহিংসতার পরে হরতাল ও লাগাতার অবরোধে ধারাবাহিক নাশকতা চলছে। বিশেষ করে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এসব নাশকতার নির্দেশনা আসছে বিশেষ এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে। বললেন সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

নাশকতার ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এ তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কখনো সরাসরি আবার কখনো নির্দেশনার মাধ্যমে যানবাহনে আগুন দেয়। এর মধ্যে সরাসরি আগুন দেওয়ার সময় অনেককে আটক করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় তারা সরাসরি আগুন দিচ্ছিলেন।

আরো পড়ুন: চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ আরো সহজ হচ্ছে

এসি/ আই. কে. জে/


মাদকসেবী রাজনীতিকরা

খবরটি শেয়ার করুন