ফাইল ছবি
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা।
বুধবার (৩রা জানুয়ারি) বঙ্গভবন থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেন তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (২রা জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোটারদের ভোগান্তি এড়াতে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন রাষ্ট্রপতি।
আরো পড়ুন: পোস্টাল ব্যালটে বুধবার ভোট দেবেন রাষ্ট্রপতি
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনদুর্ভোগ এড়াতে ভোট দেননি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তখন জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের ভোটার। তিনি ভোট দিতে গেলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে আয়োজন করা হয়, তা ওই এলাকার বা কেন্দ্রের ভোটারদের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এ কারণেই তিনি ভোট দিতে যাবেন না।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগের বিধান চালু হয়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলের দশম অধ্যায়ে পোস্টাল ব্যালট প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্নরূপ ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
১. কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে।
২. বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটার।
৩. যে ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকলে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। আগ্রহী ভোটার যে নির্বাচনী এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করতে হবে।
রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটারের আবেদন প্রাপ্তির পর, ভোটারকে ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম পাঠাবেন। ওই খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের একটি ফরম থাকবে। যা ভোটার ডাকে দেওয়ার সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে তার ব্যালট পেপার প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সঙ্গে যোগ করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবেন।
১৫ই নভেম্বর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই হিসাবে ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে শারীরিকভাবে সরাসরি ভোটদানে অসমর্থদের আবেদন করতে হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে যারা আবেদন করছিলেন, তারাই এখন ডাকে ভোট দিতে পারবেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ই জানুয়ারি (রোববার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন