শুক্রবার, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নির্বাচন সামনে রেখে অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা *** গত ১৫ বছর বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের আবেদনের আহ্বান: আইএসপিআর *** জাকসুর ভোট গ্রহণের ৫ ঘণ্টা পর গণনা শুরু *** গাঁজা উৎপাদন কেন্দ্রকে তীব্র গন্ধ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ *** ভোটের আগে ইসির ৬১ কর্মকর্তার রদবদল *** ৪৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ *** জামায়াতের একাত্তরের ভূমিকার বিরোধিতা করার নৈতিক অবস্থান আ. লীগ, বিএনপির নেই *** সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল *** দক্ষিণ এশিয়ায় চার বছরে তিন সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসছে কী *** ডাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিজয়ে জাতীয় পার্টির অভিনন্দন

যেসব ঠাণ্ডা খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:০৫ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গরমকালে খেতে মজা লাগে এরকম অনেক খাবারই দেহে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।

রেফ্রিজারেটরে রাখা ঠাণ্ডা ফলমূল, সালাদ ও পানীয় গরমে আরামদায়ক লাগে বলে ঠাণ্ডা খাবারের চাহিদা বেশি। 

ঠাণ্ডা খাবার ক্ষণিকের জন্য আরামদায়ক হলেও এগুলো আসলে দেহ ঠাণ্ডা করার পরিবর্তে তাপমাত্রা উৎপাদন করে।

ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. ভারা ইয়ানামান্দ্রা টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কিছু তথাকথিত ‘ঠাণ্ডা’ খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানান।  

>> বরফ পানি

গরমকালে বরফ ঠাণ্ডা পানি পান খুব সতেজকারক মনে হলেও এটা আসলে দেহ শীতলকারক নয় বলে আয়ুর্বেদে বিবেচনা করা হয়। বরফ ঠাণ্ডা পানি পান আসলে হজম ক্রিয়া ধীর করে এবং দেহে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়।

>> দই

দইকে যদিও সতেজকারক বিকল্প খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এটা আসলে হজমের ক্ষেত্রে ভারী এবং উষ্ণ প্রকৃতির। এটা আয়ুর্বেদে ‘অভিসন্ধি’ হিসেবে বিবেচিত যা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। গরমকালে পরিপাক ক্রিয়া অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই দই খাওয়া হজমে গোলযোগ, ফোলাভাব ও শরীর ভারী হয়ে আসার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

>> আইস ক্রিম

গরমে আইসক্রিম খুব মজাদার খাবার মনে হলেও এটা অনেক বেশি চিনি ও চর্বি সমৃদ্ধ যা হজম করা কঠিন। এর ফলে আইস ক্রিম খাওয়া দেহে বাড়তি তাপ উৎপাদন করে। আইসক্রিম খাওয়া হজমক্রিয়াকে দুর্বল ও ধীর করে। ফলে দেহে টক্সিন বা আমা উৎপাদন হয়। যার ফলে হজমে অস্বস্তি, অবসাদ ও ভারিভাব অনুভূত হয়।

>> লেবু

যদিও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে লেবুকে উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ব্যক্তির নির্দিষ্ট ‘দশা’ বিবেচনে করে গরমকালে লেবু খেতে নিরুৎসাহিত করা হয়।

লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়াতে ঠাণ্ডা খাবার হিসেবে বিবেচিত। এর টক ও গরম শক্তির কারণে হজমের আগুন বা হজম গতি বৃদ্ধি করে। ফলে দেহের উষ্ণতাও বৃদ্ধি পায়।

পিত্ত  দশা আছে এমন ব্যক্তিদের স্বাভাবিকভাবেই উষ্ণতা বেশি। গরমকালে লেবু খাওয়া পিত্ত দশা আরও বাড়িয়ে তোলে। আর এর ভারসাম্যহীনতা বুক জ্বালাপোড়া করা, অ্যাসিডিটি ও ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

>> টমেটো

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে টমেটোকে উষ্ণ খাবার বিবেচনা করা হয়, যা গরমকালে না খাওয়াই ভালো। পিত্ত দশা আছে অথবা পিত্তে ভারসাম্যহীনতা আছে এমন ব্যক্তিদের গরমে টমেটো খাওয়া ক্ষতিকর।

আরো পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে ৫ খাবারে লাগাম টানতে হবে

টমেটো টক ও স্বাদে কিছুটা অম্লীয়, যা পিত্ত দশা ও দেহের তাপ বাড়িয়ে তোলে।

গ্রীষ্মকালে বেশি পরিমাণে টমেটো খাওয়া প্রথমে পিত্ত দশা ও পরে নানান রকম লক্ষণ যেমন- অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা পোড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি অথবা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

এম এইচ ডি/

ঠাণ্ডা খাবার শরীর তাপমাত্রা টমেটো রেফ্রিজারেট

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন