বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

রিট খারিজের আদেশ বহাল, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:১০ পূর্বাহ্ন, ১৮ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ শূন্য ঘোষণা ও নির্বাচন নিয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।

ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রিটটি সরাসরি খারিজ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ।

এর আগে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের ১২ মার্চের কার্যতালিকায় ছিল রিটটি। তবে বেঞ্চের একজন বিচারপতি আহমেদ সোহেল রিটটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন।
ওইদিন এ বিচারপতি বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। তাই বিষয়টি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। এরপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

পরবর্তীতে রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত ইসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী গত ১২ মার্চ পৃথক রিট করেন। ১৩ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটটি জমা দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।

ওইদিন পৃথক দুটি রিটের ওপর শুনানি নিয়ে সেগুলো খারিজ করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। রিট দুটি খারিজ করে হাইকোর্ট অভিমত দেন, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দ্য অফিস অব প্রফিট’ ধারণ করেন, কিন্তু এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে একটি লাভজনক (অফিস অব প্রফিট) পদ নয়। রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পদ্ধতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্যদের নিয়োগের মতো নয়। তদুপরি প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের যেসব বিধান ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলো রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হয় গত ২৩ এপ্রিল। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন গত ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার নেন।

আরো পড়ুন: ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য

এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। সে নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ রিট করা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এম/

 

রিট আইনজীবী জরিমানা

খবরটি শেয়ার করুন