পুড়তে থাকা যুদ্ধবিমান টিইউ-২২। ছবি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স
রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি সুপারসনিক বোম্বার (যুদ্ধবিমান) ধ্বংস হয়ে গেছে। দূর থেকে হামলা চালানোর কাজে শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতির এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হামলার ছবি বিশ্লেষণ করে সোমবার (২১ আগস্ট) বিবিসি বলেছে, “সেন্ট পিটার্সবার্গের দক্ষিণ সোলৎসি-২ বিমানঘাঁটিতে একটি তাপোলেভ টিইউ-২২ যুদ্ধবিমান পুড়তে দেখা গেছে।”
মস্কো বলছে, “একটি ড্রোনকে লক্ষ্য করে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরও এটি একটি উড়োজাহাজের ক্ষতি করতে সক্ষম হয়।” তবে এ বিষয়ে ইউক্রেন কোনো মন্তব্য করেনি।
শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে ছুটতে পারে টিইউ-২২ যুদ্ধবিমান। ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলা চালাতে এই যুদ্ধবিমান ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে আসছে রাশিয়া।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, “মস্কোর সময় সকাল ১০টার দিকে ‘কপ্টার-আকারের ড্রোন’ দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছিল।” নভোগোরোদ অঞ্চলের সামরিক বিমানঘাঁটিতে এ হামলা হয় বলে বিবৃতিতে বলা হয়। সেখানে সোলৎসি-২ বিমানঘাঁটি অবস্থিত।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমাদের একটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।” বিমানঘাঁটির পার্কিং এলাকায় ছড়িয়ে পড়া আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে একটি যুদ্ধবিমানে ব্যাপকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। যুদ্ধবিমানটির অগ্রভাগ দেখতে টিইউ-২২ বোম্বারের মতো। বিবিসি ছবিগুলো যাচাই করে দেখেছে এবং ঘটনাটি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে।
অবশ্য একটি টিইউ-২২ ধ্বংস হওয়ায় মস্কোর ৬০টি যুদ্ধবিমানের এই বহরে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে এই হামলার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে।
সম্প্রতি কিয়েভ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে হামলা চালানোর তৎপরতা চালাচ্ছে। এজন্য তারা কয়েক ডজন ড্রোনও পাঠিয়েছে। এ ড্রোনগুলো কয়েক শ মাইল দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। উল্লেখ্য সোলৎসি-২ বিমানঘাঁটির দূরত্ব ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০০ মাইল।
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন