মানুষের জীবনে শত্রু থাকা স্বাভাবিক। যারা আল্লাহ তাআলাকে বেশি ভালোবাসেন, ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার চেষ্টা করেন, তাদের শত্রু অপেক্ষাকৃত বেশি। শয়তানেরও টার্গেট তিনি। কিন্তু মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে রক্ষা করে থাকেন। প্রিয়নবী (স.) তাঁর উম্মতকে শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্যে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার দোয়া শিখিয়েছেন। এর মধ্যে একটি দোয়া এমন, যেটার ওপর আমল করলে গোত্রের বা দলের শত্রুতা কেটে যাবে। হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) কোনো গোত্র বা লোকদের (কোনো দলের) ব্যাপারে ভয় পেলে, এই দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়া নাউজুবিকা মিং শুরুরিহিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমাকে শত্রুর মোকাবেলায় পেশ করছি, তুমিই তাদের দমন করো। আর তাদের অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ: ১৫৩৭)
তাবরানির হাদিসে আরেকটি ছোট দোয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। যে দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে দেবেন। দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ ، سَرِيعَ الْحِسَابِ ، مُجْرِيَ السَّحَابِ ، هَازِمَ الأَحْزَابِ ، اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা মুনযিলাল কিতাব, সারিয়াল হিসাব; মুজরিয়াস সাহাব, হাযিমাল আহযাব। আহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম।
অর্থ : হে আল্লাহ! কোরআন অবতীর্ণকারী; দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী, মেঘকে পরিচালনাকারী। শত্রুবাহিনীকে পরাজিত ও প্রতিহত করাে। তাদের দমন ও পরাজিত করাে। তাদের মধ্যে কম্পন সৃষ্টি করে দাও। (তাবরানি: ৯৮৯)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবী (স.)-এর শেখানো দোয়া যথাযথ আমল করার তাওফিক দিন এবং কাছের-দূরের শত্রুর অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন। আমিন।