ছবি: সংগৃহীত
কবিগুরুর ৮২তম প্রয়াণ দিবসে কবিতা, গান ও পাঠাভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মহীরুহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশুদের কন্ঠে 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে'র মাধ্যমে শুরু হয় রবীন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু প্রতিনিধি রোদসী নূর সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে শিশুবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশু ইজান মেহরান।
স্বাগত বক্তব্যে শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ আমাদের বড় হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছেন। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সকল কাজেই আমরা রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাই। আমরা যেন রবীন্দ্রনাথের মতো জীবনাদর্শ ধারণ করতে পারি আজ কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে এই হোক কাম্য।
ছবি: সংগৃহীত
মূলবক্তার বক্তব্যে প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের আগমন, অসাম্প্রদায়িকতা, কৃষি ব্যাংক এবং সমাজ সংস্কারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিলাইদহে প্রথমবার এসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গোটা এশিয়ায় বিনা সুদের প্রথম কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ আরও বলেন, কৃষকদের শিক্ষিত করে তুলতে নৈশ স্কুলেরও ব্যবস্থা করেছিলেন কবিগুরু।
আরো পড়ুন: রমনা পার্কে প্রতি শুক্রবার বই পড়ার উৎসব
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম বলেন, বর্ষাকাল ছিল রবীন্দ্রনাথের অনেক প্রিয়। বর্ষা নিয়ে অনেক গান, কবিতা লিখেছেন তিনি। এমনই এক বর্ষার ২২শে শ্রাবণ তাঁর জীবনাবসান ঘটে।
এরপর তিনি 'বাদল দিনের প্রথমও কদম ফুল করেছো দান গানটি গেয়ে শোনান।'
পরে, শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশুদের আয়োজনে কবিতা আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত রচনা 'তোতাকাহিনী' পাঠাভিনয় পরিবেশন করে শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশুরা।
এম/