গেধুন চোয়েকি নাইমা। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাসিত তিব্বতিরা গত মঙ্গলবার, গেধুন চোয়েকি নাইমা ওরফে ১১তম পঞ্চেন লামার ৩৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। একইসাথে পঞ্চেন লামার অবস্থান প্রকাশ করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
১১তম পঞ্চেন লামার সুস্থতা প্রার্থনায় ধর্মশালার প্রধান বৌদ্ধমন্দির সুগলাগখাং এ এসে জড়ো হন শত শত তিব্বতি। বৌদ্ধ ভিক্ষু ও সন্ন্যাসীরা মন্দিরে প্রার্থনা করেন।
দালাই লামার পর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর আধ্যাত্মিক নেতা হলেন ১১ তম পঞ্চেন লামা। ১৯৯৫ সালে দালাই লামা নিজে গেধুন চোয়েকি লাইমাকে ১১ তম পঞ্চেন লামা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। এর কিছুদিন পরেই ছয় বছর বয়সী পঞ্চেন লামা এবং তার পরিবার নিখোঁজ হয়ে যায়।
চীন সরকার ১১ তম পঞ্চেন লামার জায়গায় নরবুকে নিয়োগ দিলেও তিব্বতিরা তাকে কখনোই পঞ্চেন লামা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে নি। তারা এখনও ১১ তম পঞ্চেন লামার ফিরে আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছে।
বিভিন্ন তিব্বতি এনজিও, মহিলা সমিতি, তিব্বত যুব কংগ্রেস এবং তিব্বতের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি যৌথভাবে প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরো পড়ুন: চীনা অপহরণের শিকার পঞ্চেন লামার মুক্তি দাবি তিব্বতিদের
আঞ্চলিক তিব্বতি মহিলা সমিতি ধর্মশালার সভাপতি, তেনজিন নাইমা জানাম, তারা ১১ তম পঞ্চেন লামার ৩৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। একই সাথে তিনি ১১ তম পঞ্চেন লামা সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের জন্য চীনের প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাধীন তিব্বতের দাবিতে ছাত্র সংগঠনের কর্মী, তেনজিন ফাকডন বলেন, ছয় বছরের এক শিশুকে চীনা কর্তৃপক্ষ আটক করে রাখে। তারই স্মরণে প্রার্থনার আয়োজন করেছে তারা। ১১ তম পঞ্চেন লামার অবস্থান সম্পর্কে চীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সমগ্র বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত ২৮ বছর ধরে ১১ তম পঞ্চেন লামার জন্মদিন পালন করে আসছে তিব্বতিরা। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) এবং শি জিনপিং ছাড়া কেউই তার অবস্থান জানে না, কারণ তারাই উনাকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন