ছবি : সংগৃহীত
বগুড়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম ৩৬ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। এই দামে সর্বোচ্চ ৫ কেজি আলু কিনতে পারবেন একজন ক্রেতা।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহরের রাজাবাজারে এ দামে আলু বিক্রি শুরু হয়। এতে আলু উৎপাদনে অন্যতম জেলা বগুড়ায় গ্রাহকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার আর.বি কোল্ড-স্টোরেজ থেকে ১২ মেট্রিক টন আলু রাজাবাজারে ১৬ জন খুচরা বিক্রেতার কাছে ৩০ টাকায় সরবরাহ করা হয়েছে। এই বিক্রেতারা ত্রেতা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি করছেন। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি আলু ক্রয় করতে পারবেন।
সূত্রটি আরও জানায়, বগুড়াতে ৩৬টি কোল্ড-স্টোরেজ আছে। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন কোল্ড-স্টোরেজ থেকে রাজাবাজারে বিক্রেতাদের কাছে আলু সরবরাহ করা হবে।
রাজাবাজারের খুচরা আলু বিক্রেতা শাহীন হোসেন বলেন, শুক্রবার ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় ভোক্তা পর্যায়ে আলু বিক্রি হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাইকারি ৩০ টাকা কেজিতে ৩২ বস্তা আলু কিনেছি। এগুলো সরকারি দাম ৩৬ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে আগের পাইকারি ৩৬ টাকা দামে কেনা ১০ বস্তা আলু এখনও আছে। লোকসান দিয়ে সেগুলো বিক্রি করতে হবে। পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজিতে কেনা আলুর মধ্যে পঁচা আলুও আছে। সবকিছু বাদ দিয়ে কেজিতে কোনরকম ১ থেকে ২ টাকা লাভ বের করা কষ্টকর। এছাড়াও একজন ক্রেতার কাছে ৫ কেজির বেশি আলু বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্রেতাদের জন্যই দাম বেড়ে যায়। যার ২ কেজি লাগবে তিনিও ৫ কেজি ক্রয় করেন। এতে করে সংকট তৈরি হয়।
আলু ক্রেতাদের একজন বলেন, প্রশাসন ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। গতকালের চেয়ে আলুর দাম কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা কম। এছাড়াও কেউ চাইলে বাড়তি ক্রয় করতে পারবে না। আসা করি এইভাবে বাজারের অন্যান্য সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে শহরের রাজাবাজারের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৩০ টাকায় আলু সরবরাহ ও ক্রেতাদের কাছে ৩৬ টাকায় বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন