শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম *** ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম এখন তুরস্কে *** স্বামী নিখোঁজের পর দেবরের সঙ্গে বিয়ে, পরের দিনই হাজির স্বামী! *** সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব স্থগিত নিয়ে যা জানাল চারুকলা অনুষদ *** গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘কার্যকর’, নিজ এলাকায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা, সরছেন ইসরায়েলি সেনারা *** ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় যা বলছে হোয়াইট হাউস *** তালেবানের সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস চালুর ঘোষণা দিল্লির *** গুমের ঘটনায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়বিচারের পথে অগ্রগতি: এইচআরডব্লিউ *** শেখ হাসিনাসহ দুই ডজন নেতা ভোটে অযোগ্য হচ্ছেন *** ইসরায়েলি কারাগার থেকে ইস্তাম্বুলের পথে শহিদুল আলম

ফলের দাম কমলেও বাড়েনি বিক্রি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৭ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

ফলের দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। শীতকাল আসায় রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিদেশি ফলের দাম। মৌসুমি দেশি ফলের দাম রয়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যে।শনিবার (২রা ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা ও মধুবাগ এলাকার ফলের দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ দুই এলাকার ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে মানভেদে প্রতিকেজি অস্ট্রেলিয়ান আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, ফুজি আপেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, গালা আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রিমিয়াম আপেল ২৬০ টাকা, চায়না গালা আপেল ২৫০ টাকা, কমলা ১৮০ টাকা, মাল্টা ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, কমলা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, ড্রাগন ২০০ টাকা, আনার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, নাশপাতি ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, চাইনিজ কমলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৩০০ টাকা, পাতা কমলা ৩০০ টাকা, লাল আঙুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, সাদা আঙুর ৩২০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, এক মাস আগেও প্রতিকেজি মাল্টা ৪০০ টাকা, কমলা ৩০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩৮০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ২৮০ টাকা, গোল্ডেন আপেল ৩৫০ টাকা, চাইনিজ কমলা ২০০ টাকা, সুইট কমলা ৪০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা। কয়েক ধরনের আপেল নতুন এসেছে, যেগুলো এক মাস আগে বাজারে ছিল না।

দোকানের তুলনায় ভ্যানে করে ফল আরও কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।

গত কয়েক মাস ধরে আকাশছোঁয়া বিদেশি ফলের দাম কমার কারণ হিসেবে তারা জানান, শীতকালে আপেল, কমলা, আঙুরের মতো ফলের সিজন। তা ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে ফলের দাম বাড়তি থাকায় বিক্রি প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই বিদেশি ফলের দাম কমেছে। সামনে দাম আরও কমবে।

তবে এতেও বিক্রি বাড়েনি বলে দাবি করেছেন প্রায় সব বিক্রেতা। রামপুরা কাঁচাবাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বলেন, বাড়তি দামের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কমে গিয়েছিল। ক্রেতারা কিনছিল না। এদিকে বিভিন্ন বিদেশি ফলের সিজনও শুরু হয়েছে। শীতকালে কমলা, আপেলের মতো ফলের দাম কম থাকে। তাই প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম কমেছে।

আরো পড়ুন: দাম কমেছে মুরগি-মাছ-ডিমের

দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগে শীতকালে প্রতিকেজি আপেল বিক্রি করতাম ১৫০ টাকায়। কিন্তু এখন দাম কমেও ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলের দাম কমলেও সেটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে আসেনি। তাই বিক্রি বাড়েনি।

গত কয়েক মাসে আমাদের বিক্রি তিন ভাগের দুই ভাগ কমে গেছে। আগে দৈনিক ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারতাম। আর এখন পাঁচ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতেও কষ্ট হয়।

একই কথা বলেন ফল ব্যবসায়ী মো. রাসেল। তিনি বলেন, মানুষের কাছে টাকা নেই। অথচ দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়ছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করার পর ফল কিনতে আসে। মানুষ তো ঠিকমতো বাজারই করতে পারে না। ফল কিনবে কী করে? আমাদের ব্যবসার অবস্থা একেবারেই খারাপ।

এদিকে দেশি ফলের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁপে ৯০ টাকা, পেয়ারা ৬০ টাকা, চাপা কলা (ডজন) ৯০ টাকা, সাগর কলা (ডজন) ৯০ টাকা, বরই (প্রতিকেজি) ২৪০ টাকা, জলপাই ৮০ টাকা, আমলকি ৩০০ টাকা, সাম্মাম ১৮০ টাকা, সফেদা ১৫০ টাকা, আতা ৪০০ টাকা, কালো তরমুজ ৯০ টাকা, আমড়া ১২০ টাকা, আনারস (প্রতিপিস) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কদবেল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসি/ আই. কে. জে/


ফলের দাম কমলো

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250