সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৭ অপরাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৩

#

ফাইল ছবি

বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভে ডলার রেখে বসে থেকে তো লাভ নেই। রিজার্ভ থেকে অর্থ খরচ করা অব্যাহত থাকবে। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি করতে চাইলে রিজার্ভ থেকে অর্থ খরচের কোনো বিকল্প নেই।’

আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, তার বেশির ভাগই পূরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ করে সুদের হার বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অন্যান্য শর্ত বাংলাদেশ ব্যাংক পূরণ করেছে। কেবল রিজার্ভ এবং রাজস্ব সংশ্লিষ্ট শর্ত পূরণ হয়নি। তবে বাংলাদেশ ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ পাবে।

আইএমএফের সংস্কারে বাংলাদেশের বড় অর্জন জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে থাকা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনার বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, অবস্থা বুঝে ধাপে ধাপে অর্থনৈতিক পলিসিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে ডিসেম্বরের আগে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করলে এটি দ্রুত কমতে থাকবে। যারা পণ্য ধরে রেখেছে তারা ছেড়ে দেবে। এতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

পলিসি রিফর্মের বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, ‘যখন যে রিফর্ম বা সংশোধন প্রয়োজন বাংলাদেশ ব্যাংক করবে। বিশেষ করে পলিসি এক্সচেঞ্জ রেট রিফর্মের থেকে বড় রিফর্ম আর নেই। নির্বাচনের জন্য আমরা বসে থাকিনি। যখন যে রিফর্মের প্রয়োজন হয়েছে, আমরা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ পাচার রোধ এবং সুশাসন নিশ্চিতে সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক একযোগে কাজ করছে।  কাজেই অর্থ পাচার বন্ধে আইএমএফের শর্তের দরকার নেই। একটি দেশ হিসেবে আমরা নিজের জায়গা থেকেই এটি বন্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

আইএমএফ নতুন করে কোনো শর্ত দেয়নি উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের দেয়া আগের শর্তগুলো পূরণে কাজ করছে। প্রধান ছয়টি শর্তের মধ্যে রিজার্ভ আর রাজস্ব বাদে সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। আপাতত রিজার্ভ বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণে জোর দিতে বলেছে আইএমএফ। ইতোমধ্যেই শর্ত মেনে সিঙ্গেল এক্সচেঞ্জ রেট চালু করা হয়েছে। কিছু শর্ত পূরণ করা সময়সাপেক্ষ। তবে সেক্ষেত্রেও কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে। তাদের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মূলত আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত বাংলাদেশ কতটা পূরণ করতে পেরেছে এবং সরকারি বিভাগগুলো শর্ত পূরণে কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়।

আইএমএফের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে সংস্থাটির এ পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করবে। দ্বিতীয় কিস্তি ঋণ ছাড়ের আগে শর্ত পরিপালন হচ্ছে কি না, তা পর্যালোচনা করতেই আইএমএফের এবারের সফর।

নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফের শর্ত ছিল, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রিজার্ভ থাকতে হবে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু বাংলাদেশের রিজার্ভ সেপ্টেম্বরে ছিল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

ওআ/

রিজার্ভ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন