ছবি: সংগৃহীত
পিরিয়ডের দিনগুলোতে মেয়েদের ব্যথা, অস্বস্তি ও মেজাজের পরিবর্তন হয়, এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষ্য করা যায়। আবার কারও পেট নরম হয়, কারও বেশি খিদে পায়, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে মন চায়, কারও আবার বমি বমি লাগে। আর তাই এসব সমস্যা কমাতে পিরিয়ডকালের খাদ্যাভাস জানা জরুরি।
মেয়েরা পিরিয়ড চলাকালে আয়রন–সমৃদ্ধ খাবার, মাছ, কলা, পানি, পানি, ফলমূল খেতে পারেন। কেননা, এ সময় মেয়েদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। শারীরিক ও মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। তাই পিরিয়ডের সময় এসব খাবার খাওয়া উচিত-
পিরিয়ডের সময় অনেক রক্তক্ষরণ হয় বলে শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি জন্য আয়রন ও প্রোটিন–সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, ডাঁটাশাক, কচুশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি খেতে হবে। এ ছাড়া ফুলকপির পাতা, ছোলাশাক, ধনেপাতা, তরমুজ, পাকা তেঁতুল, কালো জাম, খেজুর ও আমড়া খাওয়া ভালো।
শরীরের ক্ষয়পূরণে এ সময় মেয়েরা মাছ খেতে পারেন। যেমন- ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, বেলে, চিংড়ি, ফোঁপা, লইট্টা, লাইখ্যাসহ প্রভৃতি সামুদ্রিক মাছে রয়েছে মিনারেল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। এগুলো পিরিয়ডকালে শরীরের ক্ষয় পূরণ করে ও ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।
এ সময় ম্যাগনেশিয়ামের অভাব পূরণ করতে কলা খাওয়া উচিত। কেননা, কলা পটাশিয়াম ও ভিটামিনের ভালো উৎস। এ ছাড়া পিরিয়ডকালে রক্তের পাশাপাশি অনেক পানি বা তরল বের হয়ে যায়। এজন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চা, কফিসহ যেকোনো কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো।
পিরিয়ডকালীন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল খাওয়া উচিত। এ সময় শরীরে আয়রনের শোষণরোধে ভিটামিন সি জরুরি। আর পেয়ারা, আমড়া, আমলকী, লেবু, জলপাই, জাম্বুরা ও পাকা টমেটোয় আছে প্রচুর ভিটামিন সি।
তবে পিরিয়ড চলাকালে যেসব খাবার মেয়েদের কিছু কাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এ সময় চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াই উত্তম। এর কারণ হলো এ সময় শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন হয়, আর ওজনও একটু বেড়ে যায়। তাই চর্বি বা তেলযুক্ত খাবার খেলে অস্বস্তি বাড়ে।
এ ছাড়া মিষ্টি খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে রক্তে সুগারের মাত্রার পরিবর্তন হতে পারে। এতে মেয়েদের মেজাজ খারাপ, মুড সুইং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পাশপাশি লবণও কম খাওয়া উচিত। কেননা, লবণ শরীরে পানি জমানো ও শরীর ফোলার প্রবণতা বাড়ায়। এমনকি প্রক্রিয়াজাত খাবারও খেতে নিষেধ করেন পুষ্টিবিদরা।
এদিকে চা ও কফিতে থাকা ক্যাফেইনের কারণে এ সময় অনেকের পেটব্যথা বা অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বুক ধড়ফড় করে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এর পাশাপাশি দুধজাতীয় খাবার যেমন পনির, চিজ, আইসক্রিম বেশি না খাওয়াই ভালো। কারণ, এগুলোতে পেটের অস্বস্তি ও বদহজম বেড়ে যায়।
আরএইচ/