বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার কমেছে মশলার দাম

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৭ অপরাহ্ন, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ক্রেতা কমে যাওয়ায় এখন এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি নতুন এলাচের দাম কমেছে অন্তত ৩০০ টাকা। অথচ দাম বেড়ে দুই সপ্তাহ আগেও ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি নতুন এই এলাচ (যেগুলো মেয়াদ ২০২৩ থেকে ২০২৬) বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার থেকে তিন হাজার ২০০ টাকায়।  

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে এলাচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন আবার দাম কমছে। সামনে নতুন এলাচের দাম আরও কমে যাবে বলে তারা জানান। 

শুধু নতুন এলাচ নয়, ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এখন মশলা জাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। আগের তুলনায় এখন জিরা, লবঙ্গ, দারুচিনিসহ সব পণ্যের দাম কিছুটা কম। মশলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারে এখন এসব পণ্যের দাম কমছে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মশলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বেচাকেনা কমেছে। তাই নতুন করে পণ্য আমদানি করতেই আগের মশলাগুলো কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা। এতে বাজারে এখন মশলা জাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা কম। 

খাতুনগঞ্জ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে এখন নতুন এলাচ প্রতি কেজি ২ হাজার ৭০০ টাকা, কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা কমে পুরাতন এলাচ প্রতি কেজি ২ হাজার ১৫০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮০ টাকায়। ২০ টাকা কমে কালো গোল মরিচ ৬৮০ টাকায়। ১০ টাকা কমে চায়না দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৭৫ টাকায়। আলু বোখরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। গোল কিসমিস বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ টাকায়। লম্বা কিসমিস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৯০ টাকায়। 

আরও পড়ুন: আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে ছোলার

তবে সবগুলো মশলা জাতীয় পণ্যের দাম এখন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর ঈদুল আযহার আগে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৯০০ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৩২০ টাকায়। দরুচিনি বিক্রি হয়েছিল ৩০৫ টাকায়, কালো গোল মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৫৬০ টাকায়। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এখন ডলারের দাম বেড়েছে। পণ্য আমদানিতেও খরচ বেশি পড়ছে। তাই গত বছরের তুলনায় এখন এসব পণ্যের দামও কিছুটা বেশি।

এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে মশলা আমদানিকারক আরাফাত রুবাই গণমাধ্যমকে বলেন, এখন বাজারে মশলা জাতীয় সব পণ্যের দামই কম। দুই কারণে এখন মশলা জাতীয় পণ্যের দাম কমছে। প্রথমত, এখন বাজারে চাহিদা কম। বেচাকেনা আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অন্যদিকে এখন শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হয় বিধায় অনেক আমদানিকারক নতুন এলসি (ঋণপত্র) খোলার জন্য আগের আমদানি করা মশলা বিক্রি করে টাকা আয় করছেন। এ কারণেই এখন বাজারে মশলা জাতীয় পণ্যের দাম কমছে।

তিনি আরও বলেন, এখন দাম কিছুটা কমলেও রমজানে হয়তো আরও বেড়ে যেতে পারে। কারণ ডলার সংকটের কারণে এখনও চাহিদা মতো এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারছেন না। তাই রমজানকে সামনে রেখে এখন মশলা আমদানি না বাড়ানো হলে রমজানে বাজারে মশলা জাতীয় পণ্যের সরবরাহ সংকট তৈরি হবে। ফলে তখন আবার দাম বেড়ে যেতে পারে।

এসকে/ 


মশলা দাম কমেছে

খবরটি শেয়ার করুন