বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আরও ১৩টি দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা *** ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত ইরান, পরমাণু কর্মসূচি চলবে: পেজেশকিয়ান *** নির্বাচন কমিশন গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে একমত হয়েছে সবাই: আলী রীয়াজ *** পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে সেরা দশে মোস্তাফিজ *** মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব: গণমাধ্যম তদন্ত করলে সহযোগিতা করবে আইএসপিআর *** এশিয়ার সেরা নির্মাতার পুরস্কার পাচ্ছেন ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি *** স্বেচ্ছায় পদত্যাগের অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা *** গাজায় যুদ্ধাপরাধ, দুই ইসরায়েলি সেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বেলজিয়াম *** আজ ১৩টি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা *** এইচএসসির স্থগিত ২২শে ও ২৪শে জুলাইয়ের পরীক্ষা একই দিনে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রেমে উন্মত্ত পোকায় নাজেহাল দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, ৫ই জুলাই ২০২৫

#

গেয়েংসান পাহাড়ের চূড়ায় প্রেম পোকায় আচ্ছন্ন একজন নারী পর্যটক। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ও ইনচিয়ন শহরের বাসিন্দারা সম্প্রতি এক নতুন বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শহর দুটিতে হঠাৎ দেখা দিয়েছে প্রেম পোকা বা লাভবাগের উপদ্রব। সাধারণত এপ্রিল-মে মাসের দিকে এ পোকাগুলো তাদের সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হয়। কিন্তু ব্যাপারটা তাদের জন্য রোমান্টিক হলেও এ পোকাদের ভিড়ে এখন রীতিমতো নাকাল রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো।

গত ২৭শে জুন (শুক্রবার) দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় সিউলের পশ্চিমে অবস্থিত গেয়েংসান পাহাড়ে এ পোকার ‘চরম মাত্রার প্রাদুর্ভাব’ মোকাবিলায় ডজনখানেক সরকারি কর্মী পাঠায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের জনপ্রিয় ট্রেইলগুলোতে হাইকিং করতে গিয়ে পোকায় ভরা ‘ঝড়ের’ ভেতর দিয়ে চলতে হচ্ছে পথচারীদের। খবর এএফপির।

একজন হাইকার পুরোপুরি পোকায় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছেন, আরেকজন প্লাস্টিকের কৌটায় হাজার হাজার পোকা জমিয়ে তা দিয়ে হ্যামবার্গার বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করেছেন—এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবে।

এ পোকার বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্লেসিয়া লঙ্গিফোর্সেপস’ (Plecia longiforceps)। তবে উড়ন্ত অবস্থায় জোড়ায় জোড়ায় জড়িয়ে থাকায় এদের ‘লাভবাগ’ নামে ডাকা হয়। এদের সাধারণত চীনের দক্ষিণাংশ, তাইওয়ান, জাপানের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জ, মধ্য আমেরিকা ও আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় পাওয়া যায়।

২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম এ পোকা শনাক্ত হয়। দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, এগুলো সম্ভবত চীনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এসেছে। ২০২২ সাল থেকে প্রতিবছরের জুন-জুলাই মাসে সিউল এবং এর আশপাশে বিশেষ করে বন্দর এলাকায় তাদের উপস্থিতি বাড়তে দেখা গেছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক কিম টেও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, ফলে গ্রীষ্মজুড়েই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ আর উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু লাভবাগদের বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ হওয়ায় প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ পোকার উপস্থিতি বাড়ছে।

এ পোকা মানুষকে কামড়ায় না বা রোগ ছড়ায় না, তবে বড় সমস্যা হলো—ঘরবাড়ি, গাড়ির জানালা, ট্রেন ও রেস্টুরেন্টের দেয়ালে পোকারা ঝাঁকে ঝাঁকে বসে থাকে। তাদের ঠেকাতে এখনো কীটনাশক না ব্যবহার করে পানি ছিটানো ও আঠালো ফাঁদ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

জে.এস/

দক্ষিণ কোরিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন