সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম খরচে বালুচরে মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান কৃষক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪৯ অপরাহ্ন, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কম খরচে বেশি ফলন ও লাভবান হওয়ায় অনেক চাষি মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। লালমনিরহাটের তিস্তা পাড়ে বালু চরে চাষ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। বালু চরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেও সফল হওয়া যায় তা এই জেলার চাষিরা প্রমাণ করেছেন। মিষ্টি কুমড়া চাষে চাষিরা অনেক খুশি।

তিস্তার নদীতে খরস্রোতার কারণে তৈরি হয় অসংখ্য বালু চর। চাষিরা এই বালু চরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছেন। বালু চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা অনেক কষ্টদায়ক হলেও চাষিরা দুবেলা খাবারের তাগিদে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলাচ্ছেন। এছাড়া এখানে খিরা, তরমুজ, বাদাম চাষ হলেও মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা বেশি। এই ফসল চাষে খরচ কম এবং ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা এই ফসল চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

চাষিরা বলেন, মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য প্রথমে বালু চরে অনেকগুলো গর্ত করতে হয়। পরে বাইরে থেকে আনা পলিমাটি ঐ গর্তে পূরণ করা হয়। পরবর্তীতে মাটির সাথে জৈবসার মিশ্রণ করে ৩-৪টি করে কুমড়ার বীজ বপণ করা হয়। চারা রোপনের পর গাছ বড় হলে পানি সেচ আর পরিচর্যা করলে ফুল ফল আসতে শুরু করে। প্রতিটি গাছে প্রায় ৮/১০টি করে কুমড়া আসে। প্রতিটি কুমড়া ৩-৪ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। চাষিরা বর্ষা আসার আগেই মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করা শুরু করে। প্রতি কুমড়া ক্ষেতেই ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আরো পড়ুন: ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা মাসুদ, আয় কোটি টাকারও বেশি

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের পাঙ্গাটারী গ্রামের একজন কৃষক বলেন, আমার নিজের কোনো জমি নেই। তিস্তা নদীর বুকে জেগে উঠা বালু চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে আমার সংসার চলে। চরগুলোতে হাজার মিষ্টি কুমড়ার চারা লাগিয়েছি। ক্ষেতে ফল আসতে শুরু করেছে। মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে এ ক্ষেত থেকে নুন্যতম ৪০ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রির করতে পারবো বলে আশা করছি।

এসি/ আই.কে.জে/


বালুচর মিষ্টি কুমড়া চাষে

খবরটি শেয়ার করুন