বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি আজ, সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৬ অপরাহ্ন, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্ণ হলো আজ রোববার (৮ই সেপ্টেম্বর)। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সময় যত গড়াচ্ছে বিগত সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের ভয়ংকর সব চিত্র ফুটে উঠছে। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্র ও আইনশৃঙ্খলায় অবনমন  লক্ষ করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক খাতসহ প্রত্যেকটি খাত সংস্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

পোশাক, ব্যাংক, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ বেশ কিছু খাতের বিদ্যমান সংকটগুলো মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া বর্তমান সরকারের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

পোশাক খাত

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি পোশাক শিল্প। রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ ভাগ। পোশাক শিল্পে প্রায় ৪৪ লাখ শ্রমিক সরাসরি সম্পৃক্ত, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী শ্রমিক। পোশাক শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অন্যান্য বাণিজ্য মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে এই খাতের ওপর।  

গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ৮ই আগস্ট নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মতো পোশাক খাতের শ্রমিকরাও এতদিন ধরে তাদের পুঞ্জিভূত দাবি উত্থাপন করতে থাকে। ঢাকার আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে দেখা দেয় শ্রমিক অসন্তোষ। রাস্তা বন্ধ করে তারা বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে। এ সময় অনেক মালিক তাদের পোশাক কারখানা বন্ধ রাখে। গাজীপুর ও ঢাকায় গত ৩রা আগস্ট অন্তত ৬০টি কারখানা শ্রমিক বিক্ষোভে বন্ধ ঘোষণা করে মালিক পক্ষ। জুলাই বিপ্লবের সময় পুলিশের বিতর্কিত অবস্থানের কারণে যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে না শিল্প পুলিশও।

শুক্রবার (৬ই সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে গার্মেন্টস শিল্পে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় শ্রমিক ঐক্য। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা চলছে। এদিকে যৌথ বাহিনীর সম্পৃক্ততায় দ্রুত পোশাক কারখানায় শৃঙ্খলা ফেরানোর ওপর জোর দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।     

বিশ্বে চীনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ এখন বাংলাদেশ। তাড়াতাড়ি যদি এ শিল্পের অস্থিরতা দূর করা না যায় তবে আমেরিকা ও ইউরোপের ক্রেতারা অন্য দেশের দিকে ঝুঁকতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত।  

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তার মিত্রদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশ যারা ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে শত শত ছাত্রকে হত্যা ও আহত করেছে; তাদের ওপরও পাল্টা হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ৪৬ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  

আন্দোলনের পর পুলিশ বাহিনীর আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের ব্যারাকে ফিরতে হয়েছে। এখনো কোথাও কোথাও সেনাবাহনীকে পুলিশের পাশে থাকতে হচ্ছে।  

দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীর বিকল্প নেই। কিন্তু তাদের দুর্বল ও ভীতিপূর্ণ অবস্থানের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে রাজধানী এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের শিল্প এলাকাগুলোতে প্রতিদিনই আন্দোলন হচ্ছে রাস্তা আটকে। অনেকে বিশৃঙ্খলা করছে, কিন্তু এগুলো সহজে সুরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।  

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হবে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পথ তৈরি করে দেওয়া। একই সঙ্গে নতুন করে যাতে আর কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া। এটা নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।

ব্যাংক খাত

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংক লোপাটের ভয়ংকর সব গল্প উঠে এসেছে। নামে-বনামে ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে এস আলম। ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, চলতি বছরের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা এস আলমের পকেটে আছে।  

ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা হরিলুটের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একাই ব্যাংক খাত থেকে ঋণের নামে প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বের করে নিয়েছেন।  

২০২৩ এ বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বর্তমানে দেশে ব্যাংকিং খাতের প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে ক্রমবর্ধমান ও নিয়ন্ত্রণহীন কুঋণ বা মন্দ ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বর্তমানে ঋণের ৯.৯৩ শতাংশ হচ্ছে কুঋণ; যার মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি মন্দ ঋণ আছে ৯টি ব্যাংকের, বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর।  

বিগত সরকারের আমলে লুটের কারণে ব্যাংগুলোতে তৈরি হয়েছে তীব্র তারল্য সংকট। বিশেষ করে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে তারল্য সংকট তীব্র।  

এই অবস্থায় অনেক গ্রাহককে চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। অনেক ব্যাংকের বুথে কোনো টাকা নেই। অনেকের কার্ডে টাকা থাকলেও কোনো বুথ থেকে তুলতে পারছেন না।  

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ পাচার হয়েছে। ব্যাংকিং খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। ফলে, অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়েছে। সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ জন্য আমরা সংকটে থাকা ৮ ব্যাংককে প্রয়োজন অনুযায়ী তারল্য সহায়তা দিতে বলেছি। গ্যারান্টর হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা সীমিত পরিসরে তারল্য সহায়তা দিতে চাই। সরকার আমানতকারীর কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়াবে।’

গভর্নর বলেন, ‘আমরা নতুন টাকা ছাপিয়ে আর কোনো ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দেবো না। কারণ, আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে গেলে এখন ২ লাখ কোটি টাকা ছাপিয়ে দিতে হবে। এতে দেশের মুদ্রাবাজার, বিদেশি মুদ্রার বাজার, মূল্যস্ফীতিসহ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এ জন্য সংকটে থাকা ৮ ব্যাংককে প্রয়োজন অনুযায়ী তারল্য সহায়তা দিতে বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘আপতত এসব ব্যাংক কোনো ধরনের ঋণ বিতরণ করবে না। শুধু আমানতকারীদের কিছু কিছু টাকা ফিরত দেবে। তবে, এতে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমরা আমানতকারীদের অধিকার সংরক্ষণ করব। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা সময় দিতে হবে।’

গভর্নর বলেন, ‘আমরা আমানতকারীদের অনুরোধ করব, আপনারা একসাথে টাকা উত্তোলন করবেন না। আপনাদের প্রয়োজনমতো টাকা উত্তোলন করুন। আমাদের কিছুটা সময় দেন। আমরা আশা করি, ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াবে।

নির্বাচন 

দুই দিন হলো কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেছে। এখন একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া এই সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কেননা সরকারকে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। তাছাড়া গত ৩টি জাতীয় নির্বাচনে মানুষ যথাযথভাবে ভোট দেয়নি। ফলে মানুষের মধ্যে ভোটের আগ্রহ তৈরি করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।   

গত জানুয়ারির যে নির্বাচনে শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন, সেই নির্বাচন ছিল বেশির ভাগ মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য। প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করেছিল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক টমাস কিনের মতে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিল, তার একটি বড় কারণ এটি। কারণ গত ১৫ বছরে দেশটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কোনো নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে, কবে নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবেন, সেসব সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ খাত

সাবেক সরকারের ভুল জ্বালানি নীতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রয়েছে। সরকারের পতনের পর যা আরও স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে গৃহীত একের পর এক বিতর্কিত নীতি, আমদানিনির্ভরতা ও একচেটিয়া সিদ্ধান্ত এ সংকটের প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মাত্র ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা জ্বালানি খাতে গত সরকারের সীমাহীন উদাসীনতা প্রমাণ।

বর্তমান সময়ে দেশের জ্বালানির মজুত কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে না হতেই সাধারণ মানুষসহ শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বেশ উদ্বিগ্ন, বিশেষত তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিয়ে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় দেশের জ্বালানি খাতে সংকট আরও বাড়তে পারে। পিছিয়ে যেতে পারে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের উদ্যোগসহ স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প। আপাতত যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাবে, তাই নতুন বিনিয়োগও কমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। আমদানিনির্ভরতায় গ্যাস খাতে চরম বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এতে শিল্প উৎপাদন চরম হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।  

আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে চান ড. ইউনূস

জ্বালানি বিশ্লেষক ও ভূতাত্ত্বিক অধ্যাপক বদরুল ইমাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিগত সরকার দেশের জ্বালানি খাত এমন এক পরিস্থিতিতে ফেলে রেখে গেছে, যেখান থেকে নতুন সরকারের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানির জোগানের নিশ্চয়তা, বিদ্যমান চুক্তির আওতায় জ্বালানি আমদানি ও চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া সমুদ্রে ও স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানসহ জ্বালানি খাতে বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগও কমার আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে জ্বালানি খাতে সংকটগুলো আরও প্রকট হতে পারে।

অন্যান্য

সরকারের আরও চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা, রাজপথ সচল রাখা, কলকারখানা, বিশেষত রপ্তানি খাত স্বাভাবিক রাখা, পণ্যবাজার শান্তকরণ, পালটা দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ সেবা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা মোকাবিলা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।  

এসি/ আই. কে. জে/

চ্যালেঞ্জ অন্তর্বর্তী সরকার

খবরটি শেয়ার করুন