শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীর ও মন ভালো রাখতে প্রতিদিন ১৫ মিনিট সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:০৭ অপরাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

দিন দিন আমরা এতটা অলস হয়ে গেছি যে সিঁড়ির বদলে লিফট পেলে সিঁড়ির কথা আমরা ভুলেই যাই। আবার যে বাড়িতে লিফট নেই, সেই বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতেও যেন আমাদের ভীষণ পরিশ্রম হয়ে যায়! আসলে কি জানেন তো, সবকিছুই হলো অভ্যাস। আপনি যদি অভ্যাস করে নেন, তাহলে লিফট থাকার পরও সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে কষ্ট হবে না। এখন কথা হলো, এই কাজ আপনি কেন করবেন? আপনি করবেন, কারণ এতে আপনার শরীরের জন্য অনেকগুলো উপকার পাওয়া যাবে। শুধু শরীরই নয় সাথে মনও ভালো থাকবে। জেনে নিন প্রতিদিন ১৫ মিনিট সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে যে উপকারগুলো মিলবে- 

১. ওজন কমবে

হাঁটার সঙ্গে তুলনা করলে সিঁড়ি বেয়ে ওঠাকে আরও তীব্র ব্যায়াম হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি আরও বেশি ক্যালোরি ঝরাতে সহায়তা করে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার গতি বাড়ানো বা একবারে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া ক্যালোরি ঝরানোর সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আমেরিকান কাউন্সিল অন এক্সারসাইজের একটি সমীক্ষা অনুসারে, সিঁড়ি আরোহণ প্রতি মিনিটে প্রায় ৮ থেকে ১১ ক্যালোরি ঝরাতে পারে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

সিঁড়ি আরোহণ হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা হার্টের পেশীকে শক্তিশালী করে। এটি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। সিঁড়ি আরোহণ সারা শরীর জুড়ে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে যা রক্ত ​​জমাট বাঁধা, এথেরোস্ক্লেরোসিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে।

আরো পড়ুন : বন্যার্তদের মাঝে যে ধরনের খাবার দেওয়া উচিত

৩. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

সিঁড়ি আরোহণ উদ্বেগ এবং হতাশার লক্ষণকে উন্নত করতে পারে। কারণ প্রক্রিয়াটি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা সুখী হরমোন হিসাবে পরিচিত। এটি সুখ এবং শিথিলতার অনুভূতিকে উন্নীত করতে পারে। 

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

প্রতিদিন ১০ মিনিট সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা বাড়িতে বেশি সিঁড়ি আরোহণ করেন তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এমনকি ৩-৫ মিনিটের সিঁড়ি আরোহণ গ্লুকোজ এবং ইনসুলিনের ঘনত্বের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে।

৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

সিঁড়ি ওঠার অভ্যাস দিতে পারে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। এটি হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে। ইএসসি প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি ২০২৪-এর ফলাফল অনুসারে, যারা নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগে মারা যাওয়ার ঝুঁকি ৩৯% কম।

৬. হাড়ের স্বাস্থ্য

সিঁড়ি আরোহণ হাড় এবং পেশীর জন্য একটি ভালো ব্যায়াম। এগুলো শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এই অভ্যাস। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা ওজন কমানোর ব্যায়াম হিসাবে পরিচিত যা হাড়ের ঘনত্ব এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে অস্টিওপোরোসিস এবং অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।

৭. স্ট্যামিনা তৈরি করে

বিশেষ করে যারা বসে থাকা জীবনযাপন করেন তাদের জন্য সিঁড়ি বেয়ে ওঠার প্রক্রিয়া স্ট্যামিনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ও নিচে যাওয়া আপনার ধৈর্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ফিটনেসের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

এস/কেবি 


সিঁড়ি

খবরটি শেয়ার করুন