ছবি: সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ‘আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করেছে। কারণ, তারা মনে করেছিল যে, যদি তা না হয়, তাহলে ইহুদিবাদী শাসন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।’ খবর বিবিসির।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬শে জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। আয়াতুল্লাহ খামেনি আরও বলেন যে, ‘আমেরিকা এ যুদ্ধ থেকে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। ইরান বিজয়ী হয়ে উঠতে পেরেছে এবং আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে।’
ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমান বলে জানিয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেন, ইরানি জনগণ তাদের ঐক্য প্রদর্শন করে এ বার্তা দিয়েছেন যে, আমাদের জনগণ এক কণ্ঠস্বর। আত্মসমর্পণ শব্দটি আমাদের ভাণ্ডারে নেই।
তিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু ‘এ ধরনের কথা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মুখে শোভা পায় না।’ ‘ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমান’, বলেন খামেনি।
তিনি আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্ঘটনাক্রমে একটি সত্য প্রকাশ করেছেন যে, আমেরিকানরা শুরু থেকেই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরোধিতা করে আসছেন।
আমেরিকার হামলা কখনোই পারমাণবিক হামলার জন্য ছিল না, বরং ইরানের আত্মসমর্পণের জন্য ছিল জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকার সামরিক পদক্ষেপ কখনই পারমাণবিক সমস্যা বা পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে ছিল না, বরং ‘আত্মসমর্পণের জন্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, আসলে এর মূলে তারা সব সময় একটি বিষয় নিয়ে ছিল, তারা চায় ইরান আত্মসমর্পণ করুক। আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে আমেরিকা ‘উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা ঘটেছে, তার একটি ‘অস্বাভাবিকভাবে অতিরঞ্জিত’ বর্ণনা দিয়েছেন। খামেনি বলেন, এটা স্পষ্ট ছিল যে তাকে (ট্রাম্প) এটা করতেই হবে। তিনি আরও বলেন, যারা শুনছেন, তারা বলতে পারবেন যে, আমেরিকা সত্যকে বিকৃত করার জন্য অতিরিক্ত তথ্য দিচ্ছে।
ইরানি জাতির ঐক্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৯ কোটি জনসংখ্যার একটি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল। ইরানি জাতি তার বিশিষ্ট চরিত্র প্রদর্শন করেছে এবং দেখিয়েছে যে, প্রয়োজনে এ জাতির পক্ষ থেকে একক কণ্ঠস্বর শোনা যাবে।
ইংরেজি ভাষার একটি বার্তায় খামেনি বলেছেন, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে।’
খবরটি শেয়ার করুন