ছবি: সংগৃহীত
৬০ বছরের বেশি বয়সী ভ্রমণকারীদের বলা হয়ে থাকে ‘সিনিয়র ট্রাভেলার’। এ ধরনের পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে। এই ধরনের বয়সের ভ্রমণকারীরা সাধারণত আরামদায়ক, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত ভ্রমণকে অগ্রাধিকার দেন।
ইউনাইটেড ন্যাশনস ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (ইউএনডব্লিউটিও), আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব রিটায়ার্ড পারসনস (এএআরপি), চীনভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির (ওটিএ) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সিট্রিপ এবং ফোর্বস বিভিন্ন প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনডব্লিউটিওর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৈশ্বিক পর্যটনে ২০ শতাংশ আয় আসে ৬০ কিংবা তার বেশি বয়সী ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে। একই বছর ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় এই হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।
কারণ, সেসব অঞ্চলে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা বেশি। প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএটিএ) ২০২৪ সালে জানিয়েছে, এশিয়ায় প্রবীণ ভ্রমণকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে; বিশেষত চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়।
এই জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা ভ্রমণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সিনিয়র ট্রাভেলাররা প্রতি ট্রিপে ৩ থেকে ৭ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত ব্যয় করেন।
ফোর্বস আরও জানিয়েছে, বিলাসবহুল ভ্রমণে; বিশেষত ক্রুজ বা মেডিকেল ট্যুরে ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত। এদিকে চীন ও জাপানের প্রবীণরা প্রতি ট্রিপে আড়াই থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার ব্যয় করেন বলে জানিয়েছে সিট্রিপ। ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবীণ নাগরিকরা ব্যয় করেন দেড় থেকে ৩ হাজার ডলার।
মূলত এই অর্থের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় হয় আবাসন ও পরিবহনে। ৩০ শতাংশ খরচ হয় স্বাস্থ্য ও ওয়েলনেস ট্যুরিজমে; আর ২০ শতাংশ ব্যয় হয় গাইডেড ট্যুর ও ফাইন ডাইনিংয়ে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ভ্রমণকারীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বাড়বে। একই সঙ্গে হেলথ ট্যুরিজম ও স্লো ট্রাভেল ব্যবসা বাড়বে বলে জানিয়েছে স্কিফট রিসার্চ।
সিনিয়র ট্রাভেলারদের প্রিয় গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে জাপান, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন