ছবি: বাফুফে
বাংলাদেশের জালে লায়ানসিকা জাসোথারান বল ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়ে শ্রীলঙ্কার ডাগ আউট। কে বলবে এই দলটি এর আগে হজম করেছে ৮ গোল! বড় ব্যবধানে হারের পরও সামান্য প্রাপ্তিটুকু নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে তারা। তাতে অবশ্য ফিকে হয়নি বাংলাদেশের জয়ের আনন্দ।
অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ শুরুটা করেছে ফেবারিটের মতো করেই। ৷ শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৯-১ গোলে। ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ শুক্রবার (১১ই জুলাই) প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে স্বপ্না-সাগরিকার দল।
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হলেও মাঠের চিত্র দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। মাঠ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ে পিছিয়ে আনা হয় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার বেহাল অবস্থা। এবড়োখেবড়ো এ মাঠে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথমার্ধেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক গোলে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন স্বপ্না রানী। চতুর্থ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি আক্তার। ২০ মিনিটে সেই মুনকির শট পোস্টে লেগে ফিরে না এলে ব্যবধান ৩-০ হতে পারত।
২৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে স্বপ্নার ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সাগরিকা। এক মিনিট পর বক্সের ভেতর তার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন লঙ্কান গোলরক্ষক থারুশিকা দোদামগোদাগে। গোলের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের সামনেও। কিন্তু ৩১ মিনিটে বক্সের ভেতর থারুশিকাকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।
৩৩ মিনিটে উমেলা মারমার দুর্দান্ত এক পাসকে গোলে রূপ দিতে পারেননি সাগরিকা। ৩৭ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পান তিনি। সিনহা জাহান শিখার ক্রস আটকাতে এগিয়ে আসেন থারুশিকা। বল তার পায়ের ফাঁক দিয়ে চলে যায় সাগরিকার কাছে। ফাঁকা জালে বল ফেলতে কোনো ভুল করেননি এ ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর ৪৮ মিনিটে সাগরিকার কাট ব্যাক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান মুনকি। ৫০ মিনিটে শান্তি মার্দির ক্রসে পা লাগিয়ে জাল খুঁজে নেন শিখা। ৫৩ মিনিটে বন্যা খাতুনের পাস থেকে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন সাগরিকা। ৫৯ মিনিটে হ্যাটট্রিকও পূরণ করে ফেলেন এই ফরোয়ার্ড। পূজা দাসের কাট ব্যাক প্রথম স্পর্শেই কাজে লাগান তিনি।
খবরটি শেয়ার করুন